পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मल-प्रभग्नठी ভারতবর্ষের দুই দিকে তুটো খুব বড়ো বড়ে রাজ্য ছিল। তার একটার নাম ছিল নিষদপুব, আব একটার নাম ছিল বিদর্ভ। নিষদের রাজা ছিলেন যুবরাজ নল আর বিদর্ভের রাজা ছিলেন রাজা ভীমসেন । নিষধপুরে প্রজাদের বড়ো মুখ ছিল। সেখানে চাষাদেব সবুজ ক্ষেত সোনার প্লানে ভরা ছিল । মহাজনের চালের গোলা ডালে চালে পোরা ছিল, সওদাগরের মালের জাহাজ মালে মালে ঠাসা ছিল। আর ছিল গয়লার গোয়ালে ক্ষীরবর্তী গাই । রাস্তার দুধারে মনিহারি দোকান, বাজার চকে বস্তাবন্দী কাপড়, হীরে মানিকের গহনা, বড়ো-বড়ো মহাজনের বড়ো-বড়ো বাড়ি । দেশে একটি চোর ডাকাত ছিল না । সারারাত চৌকিদার হাক দিত, হুয়ারে দুয়ারে শহর কোটাল আলো হাতে ঘুরে যেত। চাষা ধানের ক্ষেত নিয়ে, মহাজন চালের গোলা নিয়ে, সওদাগর মালের জাহাজ নিয়ে, দোকানদাব দোকান প ট নিয়ে নির্ভয়ে ছিল। পুণ্যবান রাজা নলের রাজত্বে নিষদপুরে প্রজার বড়ো সুখে ছিল। বিদর্ভ দেশের রাজা ভীমসেনও একজন খুব বড়ো রাজা। ধনে, মানে, কুলে শীলে, রাজা নলের সমান। রাজার রাজ্যও অনেক, প্রজাও অনেক, দাস দাসী, হাতি ঘোড়া, টাকা কড়ি, কত যে তা বলা যায় না। কিন্তু হায়, রাজার এত মুখ সম্পদ, এত বড়ো রাজ্য, এমন সোনার রাজপুরী, একটি রাজপুত্র বিনা সব অন্ধকার । রাজা রানীর কত বয়স হল, তবু একটি রাজপুত্র হল না। রাজরানী কত ব্রত করলেন, মহারাজা কত যাগ-যজ্ঞ করলেন, তবু রাজরানীর 8(tఫి