পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একে তিন তিনে এক ছিরিপদ ছিরিকণ্ঠ ছিরি অভিলাষ একে তিন তিনে এক ভিন ভিন্‌ গায়ে বাস গিরি গিণ্টি গায় কভু, কভু পিটায় তিন তাস অভিলাষ বারোমাস যা’তা ফরমায় ছিরিপদ পদে পদে বাধা জন্মায় ছিরিকণ্ঠ ধারি ধরি ঘাড় চুলকায়। দিনটা ভারি বিতিকিচ্ছিরি, ভারি উদাস । করকরে টিনের ছাত ; ঝুপৰুপ বৃষ্টিতে চড়বড় করে খৈ ফুটোতে লেগেছে, রেল আসার দেরী নেই, কয়লা পোড়া ধুয়া জলের ভয়ে তিন বন্ধুর সঙ্গ নিয়েছে ইস্টশানের ছাতের তলে। ছিরিকণ্ঠ বলে উঠল, আমরা যাচ্ছি কোলকেতায় যাত্রার সাজ কিনতে, লায়েব মশায় ভাড়া দিয়েছে ; কাল এমনি সময় ফিরব গায়ে, জানিস অভিলাষ। আমি বলি, আমাকেও নিয়ে চল কখনও শহর দেখিনি। ছিরিপদ বলে উঠল, ৰং আমাদের আর অন্ত কাজ নেই, তোমায় শহর দেখিয়ে বেড়াতে হবে, ওঁর চাকর বটে আমরা ? এই বলেই সে গটু গট করে এগিয়ে গেল টিকিট ঘরে। আমি ছিরিকণ্ঠের চাদরখানা চেপে বসে থাকি। ছিরিপদ এলেন, হাতে তিনখানা টিকিট। ছিরিকণ্ঠ বললে— অভিলাষ, দেখচিস কী, চলে আয়। ছিরিপদ বলে, বা স্থখানা টিকিটে দুজন মানুষ আর একখানা টিকিট নারদের দ্বাড়ি-গোপ, রাজার পালকের টুপি, সখীদের পরচুসা, সাজ সরঞ্জামগুলোর জন্যে রাখতে হবে না ? ছিরিকণ্ঠ আমার গা টিপে বলে –রেল 8õጫ