পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাসমহলের বান্দা হয়ে গেছে, ঠিক যেন রঙের গোলামটা । হুবহু নবাবী কেতার। সেলাম করে বললে, চলিয়ে, হুজুর তলব ফরমাতে হেঁ। তাড়াতাড়ি চুরোট ফেলে উঠতেই দেখি যা ছিল আগে তাই.-- সেই পুরোনো বাড়ি ঘর। দক্ষিণের বারান্দার একটা ছেড়া চেয়ারে বসে অবনী ঠাকুর —বুক খোলা জামা পরনে লুঙি, মাথায় টাক, চোখে হরিণের শিঙের চশমা । বোস-—বলেই তিনি হাকলেন— রাধু তামাক দে। একটা পিতলের গড়গড়, তাতে খানিক রবার, খানিক বঁাশ, খানিক দস্তা, খানিক সিলভারের নল। সেইটে টানতে টানতে তিনি বসলেন, আসছ কোথেকে ? আমি বললুম, খাতাঞ্চিমশাই পত্তর দিয়েছেন। তিনি বললেন, খাতাঞ্চিমশায়ের লোক তাই বল। পত্র রইল, জবাব পরে দেব, এখন বলত তিনি কৈমন আছেন ? সোনাতোনের সেই বোহিম কুকুরটা ? আমি একটা কুকুর পেয়েছি হে নাম ভালু। রোসো, তা হলে কী কাজ আছে শুনি। আমি বললুম, আজ্ঞে যাত্রা হবে ; তাই কেমন সিন কেমন সাজ হবে তারই একটু উপদেশ চাই। ও: বলেই তিনি খানিক তামাক টানতে থাকলেন, তারপর হঠাৎ বলে উঠলেন –দেখ তোমার সিন কি ড্রেস কি কিছু দরকার নেই। বাপু, ছেলেরা যে খেলা করে তারা কি সিন চায় না ড্রেস? একটা কাঠকে করলে ঘোড়া, সওয়ার হয়ে চলল টগবগ । তুলে দা সিন ফিন । সাদা কাগজে লিখলেম আরব কি বোগদাদ ; বাদ । কি বেগম, অমনি তো তার চোখের সামনে এল, মুখ্য যারা দেখতে শেখেনি তাদের জন্যেই সাজতে হয় এটা ওটা সেটা, অঁাকতে হয় সিন— নদী পাহাড় পুকুর। আরে বাপু এই তো দেখছ বসে আছি ভাল মানুষটি। একটু বুক ফুলিয়ে জোরে কথা বলি, ভাববে ভীম এল –ভয়ে দৌড় মারবে। একটু সাজ চাই ; রাজা হলে’ দিলেম একটা পালকগোজা টুপি মাথায় চাপিয়ে । কোতোয়াল হলে বেঁধে নিলে লাল সালুর পাগড়ি —ভয়ে থতমত হল লোক । কোতোয়ালের পাগড়ির নালটুকু ছেটে দাও, হয়ে যাবে যে মোট 8ግ¢