পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেট নিরীহ ভাল মানুষটি। ময়ূরের ল্যাজ কেটে নাও, রানী হল যেন মেথরানী। বুঝলে তো ? এই বুঝে সাজ কিনো। কতকগুলো জবড়জং ব্যাপারে পয়সা নষ্ট কর না। কথাগুলো ভাল করে বলতে পারলেই যাত্রার আসর মাং । বুঝলে ? যাও এখন— রোসো জবাব নিয়ে যাও—বলেই চিঠিখানায় চোখ বুলিয়েই গানটা আওড়ে দিলেন। —তারপরই হো হো করে হেসে বললেন, মুখে মুখেই মুখের মতো জবাব, দেখ ভুলে যেও না, নমস্কার। নমস্কার করে উঠতে যাব, দাড়াও —বলে অবনীবাবু ডাকলেন রাধু বাবুকে মস্কট থেকে যে খেজুর এনেছি আর বোগদাদ থেকে যে বেদান পেয়েছি আর বসরার গোলাপ ফুলের তোড়া এনে দাও । রাধু জিনিসগুলো আনতে ছুটল। অবনীবাবু বললেন— বোসো না, একটা মজার কথা শোন। আজ হঠাৎ ডাক পড়ল হারুন-অল-রসিদের ওখানে । কী হল, না বাদশার গলায় মাছের কাটা ফুটেছে। দৌড়লেম, গিয়ে দেখি হাকিমে হাকিমে গিজ, গিজ করছে ঘর। বাদশ শুয়ে আছেন। আমি বললেম, দেখি একবার হা করেন তো । ই করলেন, একটা বাঘ যেন মুখ ব্যাদান করলে। ছবি আঁকব দেখ। ই দেখেই আমার কথামালার গল্প মনে - এল –একদা এক বাঘের গলায় হাড় ফুটিয়াছিল। আমি অমনি নিজেকে মৰ্মে করলেম বক। আর সোজা আঙল চালিয়ে দিলেম শোল্লার মতো বাদশার গলায় ৷ হাড় নির্গত। তরপর বখশিশ খেল্লাৎ। লম্বা আঙুলের কত গুণ দেখেছ? রাধু কিসমিস বাদাম পেস্তা সেই সঙ্গে মস্কটি হালুয়া ইত্যাদি নিয়ে হাজির হল—বিদায়, বিদায় । আমি, অবিলাষ বলে উঠলেম, কই কই সে সব ? —আর সে কি আছে ? কতক খেয়েছি । আমি, কতক পেয়েছে রাধু, কতক বাড়ির ছেলে-পিলে, কতক বা রাস্তার লোক। —ধ্যাং, বলে ছিরিপদ ছেড়া মাছরে হাত-পা ছড়িয়ে চিৎপাৎ হয়ে পড়ল। খানিক বাদে ধড়মড়িয়ে দাড়িয়ে বললে-চললুম। ৪৭৬