পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিরিকষ্ঠ খানিক থেমে বললে –চিন্তা ফুং মার্ক। চিনের আফুং ক্ষেতের ঠিক গায়েই বর্মাদেশের তামাকের চাষ । সেইখান থেকে আসে তার চুরুট, তার নাম চিন্তাফুং, বুঝেছিল। তুই ঠকেছিস্ । যাঃ বাজে বকিসনে। আমি দেখিনি নাকি অবনীবাবুকে ? ছিরিপদ কোনো উত্তর দিলে না, খালি বললে –বিশ্বাস না করিস তো ভাই—বলেই সে চুরুটট রাস্তায় ফেলে দিয়ে বললে —আর একটু মজা হয়েছিল সেখানে তা আর বলব না। আমি শুমনি বলে উঠলেম –বল না ভাই। —আচ্ছ। তবে শোন –বলে ছিরিপদ আরম্ভ করলে । —মনে ছিল সেই সোনারুপোর ঝুলিমোড়া গজহস্তীর পিঠে একেবারে, এখানে উপস্থিত হয়ে তোদের অবাক করে দেব, আর ছিরিকণ্ঠের মুখটা কেমন হয় তাও দেখে নেব । কিন্তু ভাই বলব কী গজ-স্কঞ্চে প। দিয়েছি কি না আমনি সে গজহস্তীর মতো পালোয়ানট। ফ্যা-চা—ত করে এক হাচি ! আমার সঙ্গে সেই ঠাকুরদাস আসছিল। সেও অমনি একটা টিকটিকির মতো ছোট্টো করে হেঁচে দিলে—গি—চি–গো বাস । তারপরে সারবন্দী অযাত্র দেখা দিলে । ‘মাকড়ের সুতে হৈল যাইবার পথ বন্ধ · গোয়ালার মাথা হতে পড়ে দধি-ভাণ্ড । শুকনা ডালেতে বসি ডাকে দাড়-কাক, যুগিনী মাঙিয়া লয় কহ আর শাক । কাঠ লিয়া কাঠুরিয়া আগে আগে যায় গঙ্গা তীরে হিন্দুগণ মুদর্ণ জ্বালায়’ সবই অযাত্রা দেখলেম ; স্বযাত্রার মধ্যে কী একটাও নেই। ‘না দধি লেহ বলি ডাকে গোয়ালিনী . না পুষ্পের পসার লইয়া ভেটেন মালিনী যাবার কালে ধেমুর বাচ্ছ সামনে না দাড়ায় 89-ව්