পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খালি একটি মাত্র স্বযাত্রা। ‘গজস্কন্ধে মাহুত বসি ডস্কাটা বাজায়।’ কিন্তু একা মাহুত এক হাতি আর এক ডঙ্কা আর এই ছিরিপদ কত অযাত্রা ঠেকাবে ? কেল্লার ফটকের কাছে এসে আটকা পড়লেম । কিলেদার কিল খুললে না দরজার, ফটক বন্ধ, কী ব্যাপার? না বাবুসাহেবের ছেলে মাণিকের আংটি পাওয়া যাচ্ছে না। ফেরাও হাতি। চল হুজুরে। দেখি চারিদিকে খানাতুল্লাশি পড়ে গেছে। সিন্দুক যার যত ছিল তো ভেঙেই ফেলেছে। ভাল ভাল সব ভম্বর, তবলা, বেহাল, বাণী সেগুলো পর্যন্ত ফাটিয়ে দেখছে আংটি পায় কী না । বাবুর খানসামা অনাটন হুই পকেট আর দুই চোখ উলটে আকাশের দিকে চেয়ে আকাশ-পাতাল ভাবছে। বৈঠকখানায় গালচেগুলো উল্টে ফেলেছে। বড়ো বড়ো কোচ কেদার টেবেল চার পা তুলে মরা গুরু ছাগলগুলোর মতো পড়ে আছে। বড়ে বড়ো বিলিতি আরসি সেগুলো ফাটিয়ে দেখছে আংটি পায় কী না। হাড়িকুড়ি বাসন আলমারি সব ছতিচ্ছন্ন করে ছড়িয়ে ফেলে দেখছে আংটি পায় কী না। আমাকে বলে কোতোয়াল পকেট দেখাতে । আমি বলি, দেখ না-আছে কোট না-আছে কামিজ । হা কর।’ ‘হ্যা— নাও পানের পিচ, । চুল ঝাড়ো নাও উকুন ? 'কাপড় ঝাড়া দাও।” নাও ছেড়া কোপনি। শহুরে হলে ভুগতে হত। খানাতল্লাশির চোটে হয়ত গায়ের মাংসও খানিক লোকসান হত । যাই হোক ভালয় ভালয় অনাটনের কাছে পৌছে বললেম কাওখান কী, একেবারে যে কুরুক্ষেত্র বাধিয়েছে। সে বললে, কে জানে, কোথায় নিজেই ফেলেছে, এখন লোকের উপর জুলুম। আমি কালই চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে দেশে চললেম। দরোয়ান বাবুর্চি ড্রাইভার সবাই পরামর্শ করছে—তাই এসা মুনিবক কাম ছোড় দেন মুনাসিব। বাদীগুলো এক একটা যেন হিড়িম্বা শূৰ্পণখা পুতনা কত নাম করব। রেগে ঘোড় গিটকিরী ছেড়েছে নানা মুরে । হায় হায় ছে৷ ছে৷ 8Ե8