পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শো তেরো সাল। ইয়ার কী হল তাহলে দেখ তো ভাই । বলেই ফর্সির নলটা মুখে তুললেন। আমার মনের মধ্যে যেন সেলেট আর পেনসিল নিয়ে ইংরিজি টুকটাক খেলে চলল—তের প্লস একশো ত্রিশ ইনটু সাঁইত্রিশ ডিভাইডেড বাই সাল ইনটু সোন ইনটু শক মাইনাস হিজরি ব্র্যাকেট শকাব্দ প্লস সম্বং অ্যাডেড টু খ্রীষ্টাদ। খেলা কতক্ষণ চলে ? একবাজি শেষ হয় আর খাতাঞ্চিমশায় কন—‘হল ? অমনি তেজে শুরু হয় –প্লস মাইনাস ইনটু ড্যাশ । সেলেটে আর জায়গা হয় না, পেনসিল প্রার ক্ষয়ে যায়, মাথা চুলকোয়, পেট ফোলে, অনাটন পাশ কাটায়। খাতাঞ্চিমশার রুপো-বাধা ফর্সি বলে চলে –‘চলুক, চলুক, ফিস্-ফিস, আশিবিষ, দশ-পঁচিশ, একচল্লিশ, পঁয়তাল্লিশ । বলতে বলতে,ছকোটা যেমন বলেছে ‘উনপঞ্চাশ,ফুরুৎ’—অমনি দেখি খাতাঞ্চি নেই, পিছম নেই কুলুঙ্গি নেই, তার মধ্যে মাটির লক্ষ্মীপ্যাচ নেই, দেয়ালের গায়ে টিকটিকি নেই। নেই ভেতর ওপর ইস্ট বেঙ্গল ওয়েস্ট বেঙ্গল টাইম টেবল, উত্তর-দক্ষিণ পুব-পশ্চিম কলকাতা চিৎপুর কাশীপুর ইত্যাদি এট সেটর, এমনকি খাতাঞ্চিমশায়কেও কে যেন রবার দিয়ে ঘষে মুছে দিয়ে গেছে। আছে শুধু পড়ে একটুখানি তামাকের গন্ধ আর মস্ত সাদা জাজিমখানা যতদূর চোখ চলে ততদূর টানা যেন সাহারা মরুভূমি বা মাকুল ময়দান। তারই উপর দিয়ে একসার পিপড়ে না উটের কাফিল চলে েদেখি একটা যেন মিরাজের দিকে। থামগুলো দেখি যেন খেজুর গাছের গুড়ি। মাথার উপর ছাদ খুঁজে পাইনে। চোখ বুজলে দেখি সর্ষে ফুল, চোখ চাইলে দেখছি অনাছিষ্টি । এই সময় শুনি কে বলছে— ‘আকাশখানা দেখাচ্ছে যেন নীল পতাকাতে চন্দন নিস্কেচে । গলার স্বরটা পিলে-গোবিন্দর গলার মতো। কানামাছির ভনভনানির মতো খানিক ঘুরে-ফিরে আবার কানের কাছে এসে বললে –‘হায় হায় দিগ ভিরমি লাগল দেখি । তারপর স্বয়ং পিলেগোবিন্দ মূর্তিটা নিজের গজভুক্ত কপিখবং স্তাড়া মাথা দুই হাতে ধরে থপাস করে 8brఫి