পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুরে অন্ধকারে একটা হাতলণ্ঠন লাল হচ্ছে নীল হচ্ছে। অন্ধকার থেকে যেন ক্রমাগত বলছে —‘ওধারে নয়, এধারে আয় !" আমরা ন যযৌ ন তস্থে হয়ে শকুন্ত ছন্মস্ত বলে গেলেম । একে মরুভূই, তায় সুর্ম-কাজল রাত। অবিন বললে –‘ভয় লাগছে নাকি ? -*नां: ? —“শীত লাগছে না ? —উ হুঃ লাগছে ভাল হে । অবিনের মন তখন থিম খুঁজছে। আমাকে নড়াবার জন্যে বললে –‘হিমে মাঠে ঘোরা আমার সহে গেছে কিন্তু তোমার ধাতে সইবে না। . আমি দুষ্টমি শুরু করলেম কবিত্ব করে –‘আহা কী শোভা দেখ দেখি —সামনে অপার প্রোস্তুর, গভীর নিদ্রার মতো নিথর আকাশ মাথার উপর নীল চাদোয়া টেনেছে। মনে হয় যেন সারা জীবন এইখানে অনন্ত এই পথের মুখে ঐ পেঁপেগাছটার মতো—’ অবিন একটা দীর্ঘনিশ্বাস চেপে নিলে । আমি বলেই চললেম — আর এই উলুবনের চামর ঘাসের উপরে যদি মাথা তুলত একখানি কুটির— অবিনের গলা-খাকানি।আমি বলেই চলেছি—আর সই কুটির থেকে থেকে-থেকে কেউ যদি পাঠাত বাতাসে রাখালী বাশির মুরের মতো মিষ্টি গলায় একটিমাত্র ঘুমপাড়ানি গান ! অবিনের চোখ ছল-ছল। আর তাকে ভোগাতে সাহস হল না, বললেম,—‘চল এইবার কোথায় তোমার খিমা।’ গুম হয়ে অবিন আগে-আগে চলল, আমি পিছে পিছে। দূরে দেখা গেল থিম। ছেড়া সতরঞ্চি তিরপল বঁাশ দড়ি একের উপরে প্যাকবীক ঝুড়ি ইত্যাদির একটা স্তৃপ, সামনে একটা বাশে বাধা হারিকেন লণ্ঠন, কালি-পড়া তার চিমনি ; আলোটা যেন কাজলের নকে দিরের ফোট, প্রজাপতির ছেড়া ডানা। সেই আলোতে 859