পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিৎপাত হয়ে নিদ্রা দিচ্ছি, অনাটন আমাদের কাছে এসে। বললে –‘বড়িছুটে খেয়ে নেন, সকাল হল।' আমি চললেম —‘চা ? —‘আসছে।’ বলেই অনাটন অদৃশ্য। খাতাঞ্চিমশায়ের ডাক পৌছল –‘ওহে উঠে পড়। –ইস্‌চাময়ী তোমারই কিরূপা ! সকালে উঠে দেখি খাতাঞ্চিমশায় বসে বসে তার অ্যালার্ম ক্লকটায় দম দিচ্ছেন। এই ঘড়িটার বয়স তখন ছ-মাস ; সোনাতন বুড়ে ঘড়িটার অন্নপ্রাশন দেবার দরবার করতে আমাকে ধরে বললে –‘ছোটোবাবুমশায়, ঘড়িটার বয়স ছ-মাস পেরিয়ে যায়, ওর একটা নাম হল না ? ও তো আমাদেরই একজন সার্থী –ঘুম ভাঙায়, কটা বাজল বলে দেয়, কটা বেজে কত মিনিট হল হিসেব রাখছে। ওর অন্নপ্রাশন না হলে চলে কী ? বলেন তো ? * আমি বললেম –‘ঠিক তো, শুভদিন দেখে ওকে ভাত খাওয়ান যাবে।’ আঙুটি পাণ্ডটি ছেলে বুড়ে সবাই আমরা এই আয়োজনে মেতে আছি, অভিধান খুজে নামও একট, বার করেছি, এমন সময় কে জানে কেমন করে বাতাসে বাতাসে খবর পেয়ে গেলেন খাতাঞ্চিমশায়। সেই থেকে ঘড়িটা বন্ধ হল বাক্সে । কেবল দম নিতে পেত দিনে একবার করে বাইরের আলো হাওয়া বেচারা ! খিমার মাঝে খাতাঞ্চিমশায়কে ঘড়িতে দম দিতে দেখে বললেম –‘ভড়কাকে সঙ্গে এনেছেন দেখছি।’ খাতাঞ্চিমশায় বললেন –ও এখন ভিড়কা' মেই, ওর নতুন নাম দিয়ে গেছে সোনাতন —“তড়কাবতী’ ’ থেকে থেকে তড়ক রোগে ধরে ওটাকে । সেনগুপ্তর তেল মালিশ করতে হয় রোজ এক আউন্স —তবে ঠিক থাকে।’ 8Ste