পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাবনা ঢুকেছে তার, চিনেমাটির পেয়ালাটার ফরমাশ দিয়ে গেছে বেলেস্তার বাবুর বেলাতি বারু। . সেদিন বসেছে মাত্র একখানি মুদির দোকান পথিকে তেলেভাজা ফুলুরির দিতে যোগান মহানন্দের ‘আনন্দ ক্যাবিন’ । সাইনে লেখা নাম –তেলরং দিয়ে বাক চোরা মোট সরু । মুদি ছিল এককালে মাইনর ইস্কুলের পড়ু। মুদির ঘরের কাছে জাবর কাটতে আছে অস্থিসার কার হারানো গরু এখন এই চর তদারকে খুদিরাম বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে খাতাঞ্চিমশায় এই মুদির দোকানে বাসা নিয়েছেন। ব্রাহ্মমুহূর্তে খাতাঞ্চিমশায় মশার জ্বালায় ভোরে ফরাগৎ হয়ে মুদির দাওয়ায় বসে কুললি করছেন। লাল গামছা আর ভিঙ্গার নিয়ে খুদিরাম বিশ্বাস দাড়িয়ে । কিছু অন্তরে মুচির হাত। —সেখানে চিনিবাস মুচি খাতাঞ্চিম শায়ের ছুপাটি জুতোর গোড়ালিতে দুখান গরুর নাল আঁটছে –পিতলের গুজি ঠুকে ঠুকে । আকাশ তখনো ফর্শ হয়নি –আবছা দেখা যাচ্ছে । মুদির বাড়ির একধারে একটা মুরগি রাখবার টো জালা, একঝাড় জল-বিচুটি । এমন সময়— রামপাখি ডাকিল যেমন—ক-কুত্র অমনি উঠিল প্রভাত তপন, ধরে সেই সুরের সূত্র ! কুডুক কুকুটি ডানা ঝাড়ি উঠি— জল বিচুটির ঝাড়ে বাওয়া ডিম্বটি পাড়িল ক্ষুদ্র। রামপাখি ডেকেই চলেছে—ধুঞ্জ টাই–ধুমটাছ-গলা ছেড়ে। খুদিরাম খাতাঞ্চিমশায়ের চিবোনো আধখান গাব-ভেরেণ্ডার & a q