পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ খুদুর বস্তির পানা-পুকুরে কৌতুক ধোপা কাপড় খুচ্ছে - খোদকস্তা খোদকস্তা খেদি খেদি পাইকস্তা। গমের বস্তাকে বালিশ করে খুদিরাম দিবানিদ্রা দিচ্ছে আর স্বপন দেখছে তার হাতের পাচ কেবলি হয়ে যাচ্ছে ভেস্ত। লঙ্কাকাও শেষ করে আন্দো মুদি বেলা আড়াই পহরগতে গজকচ্ছপের যুদ্ধর কথায়খড়কি গুজে কস্ত হাতে বঁাটাচ্ছে দোকানপাট, এমন সময় গজের মুখে বোড়েটি ঠেলে সংক্রাস্তি ঠাকুর হাকলেন –মাৎ এমে তক্তার পাটাতনখানা শব্দদিলে, মচাং । খাতাঞ্চিমশায় — উস্ গরম ! তুমি বোধ করছ কেমন ? বলে তালপাতার পুাখাখানা দিয়ে নিজের পিঠ চুলকোতে থাকলেন। চকোটি খাতাঞ্চিমশায়কে এগিয়ে দিয়ে ঠাকুর বললেন—‘আর বোধাবোধ, দেনা-পাওনা জীবন দিয়ে শোধ করার রকম। খাতাঞ্চিমশায় খালি ধুম ছেড়ে বাঘা গোফ নিয়ে গজের দিকে কটমট করে চেয়ে একটা হুঙ্কার দিলেন –‘হুম্! সংক্রান্তি ঠাকুর বললেন—আর দাদা দেখ কী, মাৎ একদম? —তোমার যদেব দেহতদেব বচন, বলেই খাতাঞ্চিমশায় নৌকে। চেলে ঠাকুরের বোড়েটি ছকের পর থেকে চেটে তুলে নিয়ে হাকলেন —'খুদিরাম— সংক্রান্তি ঠাকুর নিজের হুকোটার খালি বৈঠকে হাত বুলিয়ে বললেন,—‘একটা কাজের কথা কইতেছেলাম —উদ্‌ভুটি চরের পঞ্চম অংশের দুই অংশ —’ —সে বিষয়ে তো মুন্সেফ কোর্টে যবনিকাপাত হয়ে গেছে চুকিয়ে দিয়ে পঞ্চম অঙ্ক ? 彎 ংক্রান্তি ঠাকুর মরিয়া হয়ে বললেন—তামাশা নয় খাতাঞ্চিমশায়, আমি ব্রাহ্মণ পুরিং, পঞ্চম অংশের দুই অংশ ঠাকুরের প্রাপ্য আছে বেদের বিহিত ? & S (t