পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাতাঞ্চিমশায় বললেন –‘তা তো বুঝলেম। কী হিত বিহিত মামলা করার আগে ভাব ছিল উচিত।” সংক্রাস্তি ঠাকুর নরম হয়ে বললেন –দোহাই, অমুচিত না করেন এমন ।” —এখন ঘরে যাও, পূর্বমুখ করগা স্মরণ। বলেই খাতাঞ্চিমশায় ডাক দিলেন—‘খুদিরাম এলে ? খুদিরাম পাশের ঘর থেকে সাড়া দিলে –‘আজ্ঞা এলেম ।’ সংক্রাস্তি ঠাকুর নিশ্বাস ফেলে মুদিখান ছাড়লেন –‘মাগে। দীনতারিণী তোমারই ইস্চে —এই কথাটা যেন আউড়ে, খুলেই বন্ধ হল দোকানের বাপখান । - খুদিরাম বিশ্বাস দেখা দিলেন, একটা শালপাতার ঠোঙা, এক গেলাস জল হাতে, মাথার একদিকের চুল গমের ভুষিতে সাদা। খাতাঞ্চিমশায় ঠোঙাটা আর গেলাসটা খুদিরামের হাত থেকে নিয়ে বললেন –‘যাও মাথাটা ঝেড়ে হাতে মুখে একটু জল দিয়ে এস, কাজের কথা আছে।’ খুদিরাম মাথা ঝাড়তে যায়, খাতাঞ্চিমশায় বলে উঠলেন –‘না না এখানে নয়, খাবারে ভূষি পড়বে।’ খুদিরাম তফাতে আড়ালে গিয়ে ভিজে গামছায় হাতমুখ মুছে দুখান চিতি সুপুরি গালে ফেলে, ফিরে এসে দেখে খাতাঞ্চিমশায় জলখাবারগুলি শেষ করে চুপ করে বাইরের দিকে চেয়ে বসে আছেন। খুদিরাম ঠোঙাটা গেলাসটা সরাতে যায় –খাতাঞ্চিমশায় বললেন –‘গেলাসটা থাক, ঠোঙাট ঐ গরুটাকে দিতে হবে রাখে, বোস। কথা আছে —বলেই স্তব্ধ किछूय १ । খুদিরাম দেখলে বাইরে বঁাশের খোটায় বাধা হারান গরু আর তারই পিঠে একটা ধোড়াকাকের দিকে চেয়ে আছেন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে খাতাঞ্চিমশায়। সেই সময় কাকটা ভাঙা গলায় আওয়াজ দিলে – “ক ? গরুটা গলা খাকানি দিয়ে তার জবাব দিলে। খাতাঞ্চিমশায় বঁ হাতে নিজের গোফজোড়ার জল মুছে বললেন والاه