পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শোনাতে হয় তো আপনার চার বউকে শোনান গিয়ে, খুশি হবে, বলেই সোনালি আন্ত দিকে চলে গেল । কুঁকড়ে রেগে গজ গজ করে ঘুরে বেড়ান, অনেকুক্ষণ পরে ‘একটা গান গাও-না। কুঁকড়ে ফেঁাস করে উঠলেন, সোনালি বললে, বাসরে, একে বুঝি বলে গান !' তখন মিষ্টি স্বরে কুঁকড়ে ডাকলেন, ‘সো-ও-ও-ন, যেন শুাম পাখি সিটি দিলে, সোনালি অমনি আবদার ধরলেন, কুঁকড়োর গুপ্ত মস্তরটি শোনবার জন্যে। কুঁকড়ে খানিক এদিক ওদিক করে বললেন, ‘সোনালি, তুমি বাইরে যেমন খাটি সোনার, বুকের ভিতরটাও যদি তেমনি তোমার খাটি হয় তবে তোমায় আমার গোপন কথাটি শোনাতে পারি’, বলে সোনালির মুখের দিকে অনেকক্ষণ চেয়ে থেকে যেন শুনতে লাগলেন, সোনালির বুকের মধ্যে থেকে ডাক আসছে কি না, বিলো বলে।’ তার পর কুঁকড়ে আরম্ভ করলেন, ‘সোনালি পাখি, বুঝে দেখো আমি কী, সোনার শিঙার মতো বাক আমি বাজবার জন্যই স্থষ্টি হয় নি কি জীবন্ত এক রোশন-চৌকি ? জলের উপরে যেমন রাজহাস, তেমনি স্বরের তরঙ্গে ভেসে বেড়াতেই আমার জন্ম, আমি চলেছি সুরের বোঝা শব্দের ভার বয়ে সোনার একটি মউরপঙখি, সকাল-বিকাল। সোনালিয়া বলে উঠল, নৌকোর মতো ভেসে বেড়াতে তো তোমায় কোনোদিন দেখি নি, মাটি আঁচড়াতে প্রায়ই দেখি বটে।’ কুঁকড়ে বললেন, ‘মাটি আঁচড়াবার অর্থ আছে। তুমি কি মনে কয়, আমি মাটি আঁচড়াই মাসকলাই সংগ্রহ করতে। সে করে মুরগির, আমি মাটি আঁচড়ে দেখি, কোন মাটি আমার উপযুক্ত দাড়াবার বেদি হতে পারে। আমি জানি, গান গাওয়া মিছে হবে যদি না ইট-পাটকেল ঘাস কুটাে কাটা সব সরিয়ে এই পুরানো পৃথিবীর কালো জাটির পরশখানি নিতে ভুলি। পৃথিবীর বুকের খুব কাছে দাড়িয়ে মাটির সঙ্গে নিজেকে একেবারে মিলিয়ে তবে আমি গান কৰি। রোনালিয়, প্রায় সবই তো শুনলে, আরো যদি 8ు