পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কী আর করে –চলল হেতি হোতি ধীরে ধীরে চাদপাল ঘাট, তেলকল ঘাট, তক্ত ঘাট, আরমনি ঘাট, কুলপি ঘাট, কয়লা ঘাট, শেষ বাবু ঘাটে না জল খেয়ে গরু দিলে ছুট- গোধূলিতে। মাঠ ময়দানে চিত্র-বিচিত্র পদচিহ্ন গোম্পদ আর ঐ পদে পদাকীর্ণ করে গিয়ে ঢুকল হেতি হোতি দুই রাখাল আষ্ঠিবুড়ির খোয়াড়ে খোড়া গরু খুঁজতে। সেখানে দেখছে কি হোতি হোতি— গরু রয়েছে বাথানে, ষাড় রয়েছে উঠানে । দাওয়ায় শুয়ে বাঘ । মাচানে শুয়ে বানর, আড়াতে পড়া টিয়ে, মুড়াকে দাড়কাক । খিড়কিতে মুর্গি, হাস, খড়ের চালিতে শালিক, ঘুঘু চরে সুপুরি বাগানে। এই বাগানের চারি পার্শ্বে ভীষণ অটব্য, মধ্যে মধ্যে পর্বতমালা ও অত পুরকালের স্রোতস্বিনী নদী ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খামার .দেখা যায়। স্থানটির মধ্যে রয়েছে এক ব্যাসকুণ্ড । এই কুণ্ডের যেদিক দিয়ে হোক না কেন মানুষ ঢ়িল ছুড়ে পার করতে পাবে না । কুণ্ডের মধ্যস্থানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তেজ বেশি। সেই কুণ্ডের তিন ধারে বসে আছিবুড়ি, মাধি বুড়ি আর অস্তিবুড়ি স্বপুরি ফেলা-ফেলি খেলছিলেন এমন সময় দূর থেকে হেতি হোতিকে আসতে দেখেই ‘মহেঞ্জদাড়ো মহেঞ্জদাড়ো’ বলে তিন বুড়ি চিৎকার করতেই বিকটাকার এক দেড়ে ছাগল হেতি হোতিকে ঢুসিয়ে বিদায় করবে এমনি ভাব দেখিয়ে প্যাচালো শিং বাগিয়ে পায়ে পায়ে এগুতে থাকল। হেতি হোতি যত পিছোয়, তত আগায় ছাগল । শেষে বোকা ছাগলটা দুই পায়ে খাড়া হয়ে যেমন তেড়ে মারবে টু অমনি হেতি ধরেছে তার শিংঘটে। চেপে, হোতি ধরেছে মুঠিয়ে তার দাড়ি। আর যায় কোথায় ! শিং ধরে এক মোচড় আর দাড়ি ধরে এক ঝাকানি দিণ্ডেই ছাগল ম্যা ম্যা বলে কেঁদে ফেললে —ম্য র্ত্য। —অম্যা। বাঘট দাওয়ায় ●●●