পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোদের নাইকো পুকুর নাইকে ডোব গরুর সনে কাটা বনে ঘুরি ফিরি নিশি দিব। , ভবের হাটে ঘোল খেতে যাই জ্ঞান গোচর নাই কোথায় খান কোথায় ডোবা । আছিবুড়ি শুনে বললেন –ও মাধ্যি ! কী করা যায় হেভি হোতিকে নিয়ে ? *. মাধ্যি বললেন –‘ও অস্তি । কী করা যায় ? এদের জ্ঞান গোচর কিছু নেই ? অস্তি বললেন — প্রসিদ্ধ সর্বজ্ঞ জ্ঞানকুণ্ডু আছেন; তার কাছে এদের ফুটিকে পাঠিয়ে দাও।” ছাগলীর মা বুড়ি এককুড়ি ছাগলছানার মধ্যে থেকে একটি তিনরঙা ছাগল বেছে নিয়ে বললে –এইটি নিয়ে যাও, জ্ঞানকুণ্ডুর গুরুদক্ষিণে । দেখ যদি এর বদলে সে জ্ঞানবুদ্ধির হাড় থেকে কিছু দেয় দুজনকে ' হনুমান-ঝোরার ধারে জ্ঞানকুণ্ডুর বাড়ি—সেখানে মশাল জালিয়ে সানের বাইরে কী ভিতরে ধরলে দপ করে নিভে যায়। এ-হেন সেই সোত ঘরের মধ্যে জ্ঞানের ঝুড়ি আগলে বসে থাকেন সর্বজ্ঞ জ্ঞানকুণ্ডু গর্দভের চামড়া মুড়ি দিয়ে। ভুসকুমড়ে ক্ষেতে ঢাকের মতো একটা গোলাঘর। তার না-আছে দোর না-আছে ঘুলঘুলি। আগাগাড়ো আড়ামোড়া ইছর-মাটিতে নিকোন, তার উপর তিনকোণ, চারকোণ আটকোণা আড়ি-দাড়িকসিতে টানা চৌষট্টি কলাবিছের রশি ; জাহবিষ্ঠের, চুরিবিছের, জুয়াচুরিবিদ্ভেৱ নক্সা আর আলপনা। গোলাঘরে ঢোকবার পথ না পেয়ে হেতি হোতি ডাকলে – ‘কুণ্ডুমশায় ঘরে আছেন ? éశి"