পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হোতি বললে –সেইটুকু বুঝলেম কেবল কুণ্ডুমশায়ের কৃপায়। পাঠার বদলে কিছু না হলে এটুকু তো বুঝতেম না। হেতি বললে –‘তা বটে। চল স্থানান্তরে, কিছুর উপর বুদ্ধি তো খাটানো চাই ? এই বলে গোলাঘর থেকে কিছু অস্তরে একটা তালবনে গিয়ে বসল তুই ভাই বুদ্ধি খাটাতে। তাল পেড়ে খাবে কোন বুদ্ধি করে এই ভাবছে তারা এমন সময়— রজনী আগত হৈল ঘোর অন্ধকার ভয় লাগিল অতি হেতি হোতি উভয় জনার । ওদিকে গোলাঘরে জ্ঞানকুণ্ডু ভাবছেন –ছাগল, গরু, গাধার বদলে সবাই দেখি বুদ্ধি নিতে আসছে দলে দলে। একটু একটু দিতে দিতে সব বুদ্ধি ফুরিয়ে গেলে কী করব তখন ? এই ভেবে কুণ্ডমশায় তার ঘটে যা কিছু বিদ্যা-বুদ্ধি ছিল একটা মাটির কলসিতে ভরে নিজের গলায় বুলিয়ে তালগাছের মাথায় লুকিয়ে রাখতে চললেন। যত বড়ো না মানুষ ততোধিক বড়ো কলসি গলায় ঝুলিয়ে কোমরে দড়া বেঁধে তালগাছে উঠা কী সহজ কর্ম! জ্ঞানকুও যতবার উঠতে যান গাছে, ততবার পা পিছলে নেমে পড়েন মাটিতে । হুেতি হোতি র্তার কাও দেখে বলাবলি করছে —‘ভাই, লোকট। কী বোকা। গলায় কলসি বেঁধে জলেই ডোবে সবাই । গাছে ওঠে কে ? কথাটা জ্ঞানকুণ্ডুর কানে পৌছতেই থমকে দাড়িয়ে এদিক-ওদিক চেয়ে, গলা থেকে কলসি নামিয়ে ভাবতে বসলেন –কী করা যায়, কোথায় লুকোই বুদ্ধির ঘট? ঘট বয়ে গাছে ওঠার কী উপায় ? ' মনের ছঃখে মাথায় হাত দিয়ে ভাবছেন কুণ্ডমশায়, এমন সময় হুেতি হোতি এগিয়ে এসে বললে –‘কী ভাবছেন মশায় ? ees ”