পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবে রাখিবা প্রাণের শকতি গোসায়ে রাখিবা অটুট ভকতি। এই বলে প্রজাপতি অদৃশু । তার বদলে দৃশু হলেন –এক জগৎ গোসাই! খড়ম-পায়া জগৎ গোসাই কমণ্ডলু করে—খটম খটম চলে |’ বিভীতকী হরিতকীর যেন একট, গাছ এমনিতব মোটা এক ডাণ্ড হাতে জগৎ-গোসাইকে অবতীর্ণ দেখেই ভয়ে আর সব জীব চুপ! সবার হয়ে হেভি হোতি বলছে – “বাঞ্ছা তো পালি গোসায়ের সংসার কিন্তু অল্প বিনা চলা যে ভার ! —ইচ্ছা তো জীবজন্তু চরায়ে বেড়াই, কিন্তু জলবিন্দু যে মুখে দিবার নাই ।” ভক্ষ্য বিনা জীবন রক্ষায় অশক্ষা,জীবে রাখি কেমনে করতাব ? দোহাই গোসাইজী কিছু খাতি পাই । এই বলে হেতি হোতি এ-ওর বুড়ে আঙল ধরে, চুষে খেয়ে ফেলে দিলে। দেখে জগৎ-গোসাই যত বলছেন— ‘বুদ্ধাঙ্গুষ্ঠ চুষতে নাই ক্ষয় হবে যে পবমাই –’ কে কার কথা শোনে ? ক্ষুধার জ্বালায় অস্থিব হয়ে হেতি হোতি তখন এ-ওর গালের মাংস কামড়ে খাবার চেষ্টা ! তখন রেগেছেন জগৎ গোসাই! বলছেন— ‘অমান্ত না করো ব্রহ্মবাক্য, কোর না তোমরা খাই খাই ; 68९