পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাখালী করগা দুই ভাই, ভর ভর্তি গোসায়ের সংসার যে যা চাবে পাবে তাই নজর করে দেখা চাই ।” ছটাে কোলা ব্যাঙের মতো ড্যাব, ভ্যাবা চোখ ঘুরিয়ে হেতি হোতি চারিদিকে চায়, কোথাও কিছু নাই গোসাই পর্যন্ত অদৃশ্য। কেবল তার বিভীতকী হরিতকী দণ্ড খাড়া আছে ! তখন ভয়াদ্রিত সব জীব জন্তু ঘেমে নেয়ে উঠেছে। হেতি হোতি আস্তিকালের জীবদের মধ্যে বলাবলি করছে দু'জনে – 'ভাইরে, কারসাজি ভোজবাজি করতার বোঝে সাধ্য কার? এ যে যাদু বিদ্যে বৰ্মার। আমরা ছিলেম না, সে ছিলেম ভাল এক প্রকার, চিন্তা ছিল নাক’ বাচা কি মরার ! জীবন পেয়ে যে একে হতে হলো আর । ভাবনা ক্ষুধার –ভাবনা তৃষ্ণার ; পালিতে জীবধর্ম গলদঘর্ম । প্রাণ লয়ে প্রাণীর টেক ভার। দেখতে দেখতে স্থষ্টির প্রাক্কাল মধ্যাহ্নকাল সায়ংকাল কেটে ঘোরতর অমানিশার চেয়ে তিন ডবল অন্ধকার রাত এসে পড়ল । প্রথম সৃষ্টিতে দিন হল খতম । যেমন অন্ধকার নাম, আর জীবজন্তু সব কামড়া কামড়ি শুরু করা ! সৃষ্টিতে অনাস্থষ্টি বেধে গেল ! বিরাট জীবজন্তুদের বিকট হাক ডাক ৷ চচ্চড় ছিড় ড়ে চাম যেন -কলাপাত ফাড়া হচ্ছে, শালপাত হচ্ছে প্রীতি-ভোজের দিনে । ‘স্কুৎরাম ? 'রক্ষাম!’ ‘ভক্ষাম ’ শব্দে কান পাতা ভার।' হেভি হোতি ভয়ে দুজনে হরিতকী বিভীতকী ভাণ্ডার আগায় বসে °48 s)