পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—‘যা হয়ে থাকে ভাই। সে রাত তো কাটল, তার পরদিন সকালে উঠে ছেলে পড়তে যেতে চায় ভুগিলহাটে গুরুর টোলে— দোর খোলা পায় না, একটি কে এসে খিড়কিঘাটে বাসন মাজছে । —হঁ্যাগা খিড়কি দোরটা খুলে দাও আমি যাই ! —তাও কী হয় গা, হাত মুখ ধোও, মিষ্টিমুখ কর। যেমন এলে তেমনি কি যেতে আছে! মিষ্টিমুখ করতে রয়ে গেল ছেলেটি তে রয়েই গেল—আর যাওয়া হল না ভুগিলহাটে টােলের পড়া নিতে। ভূগিলহাটের গুরুমশাই গুনে দেখেন র্তার সেই একটি ছাত্র খালি পড়ে রোজই । আর পোড়োদের গুরু শুধান –হঁ্যাব, মুখুটির পোলা গেল কনে ? দেখি না যে টোলে ! - মুখুটির সন্ধান করে করে গুরুমশাই হয়রান। ওদিকে বেজে উঠেছে ঢাক-ঢোল —রতনমালার বিয়ে । —বাস। —বলে গুরুমশাই মাথায় ফেট বেঁধে হাপাতে হাপাতে উপস্থিত মুখ রায়ের বৈঠকে। —আম্বন, আসুন, প্রণাম ! মুখ কিছু মলিন দেখছি যে ? —আর বলেন কেন, আমন ছাত্রটিকে রায়-বাঘে নিলে । —কী পরিতাপ. রায়মশার বাঘ গোফ ঢাকা চাপা হাসি । গুরুমশায়কে যেন অভয় দিয়ে থাবা বাড়িয়ে একটুকরো কাগজ র্তার হাতে গুজে দিয়ে জানালেন যে গুরুদক্ষিণা এই পাচখাদ জমি। —পরিতাপ করবেন না বালকটির জন্তে ? —‘সে ছেলের মা-বাপ কী করলে ? —সে জানে তোমার চাংড়াদিদি, আমি ওদের কুলের খবর রাখি না। কাল একটা কলম্বা আন তো আর একটা গল্প বলব।’ ©Ꮤabr