পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তখন দেবর লক্ষ্মণের তুণে চড়ে যেও। আমি ছাড়ি না, তখন মা জানকী একটি বটপাতায় রামনাম লিখে সেই ভেলায় আমাকে চড়িয়ে জলে ভাসিয়ে দিলেন। ভেলা গোদাবরী পেরিয়ে ওপারে ঠেকল সহজে। প্রভু, আপনি বটপাত কাঠালপাত কলাপাতায় নিজের নাম লিখে,ভাসিয়ে দেন সারি সারি —বানর সৈন্ত সেই রামনামের ভেলায় পার হয়ে যাক লঙ্কায় ! - নাম সই করার কথায় রামের হৃৎকম্প উপস্থিত। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে কাষ্ঠ বিড়ালের পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন –বৎস, সে হয় না। আমার নামের জোরে আর সবাই যেন পার হলো, আমি তো আমার নামের গুণে তরতে পারব না, অন্ত উপায় চিন্তা কর যাতে সবাই এক সাথে যেতে পারি সীতা উদ্ধারে । কাষ্ঠ বিড়াল তুণের মধ্যে ঢুকে একটি বাদাম চিবোতে থাকুক। ও দিকে শতযোজন সাগর গোল-গম্ভীর আওয়াজে বলে চলুক — উদরম হুঃখ মন্দিরম বার বার তিনবার —এমন সময় লক্ষ্মণ ছুটে এসে বলছেন দাদা –‘শিলা জলে ভেসেছে দেখ সে । —বল কি ভাই, দেখিলেও না হয় প্রত্যয় ! বলে রামচন্দ্রর দেখতে চললেন । লক্ষ্মণের তুণে সীতাদেবীর কাষ্ঠ-বিড়াল রামনাম জপতে জগতে চলল । ግ¢ፃ¢