পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেড়ে বাগান তদারকে চললেন। পাছে পাছে বাদশাবাবু বুড়ো মালী আর গোল পাতার ছাত ধরে সোনাতন । পুকুরের উত্তর পাড়ে, কলা বাগান, তেঁতুল তল থেকে আরম্ভ করে পাথরের চৌকি পাত কয়েৎ বেল গাছটা পর্যন্ত । সেই বেলতলার পাথরের বেদীতে খাতাঞ্চিমশায় দ্বিতীয় আশুতোষ যেন ধ্যান মুদ্রা করে বসে বললেন –‘দেখ বাদশাবাবু বড়ে হেলা বুড়ে বেলগাছ –এতে ফলও ধবে না পাতাও নেই দেখতে পাচ্ছ।’ —‘ঐ যে ফুল ধরেছে খাতাঞ্চিমশায় ।” বুড়োর ধান ভঙ্গ। উপরে চেয়ে দেখলেন শুকনো ডালে লাল কালো সাদা ডোরাটান একটি প্রজাপতি সবে গুটি ফেটে বেরিয়ে রোদে ফুলের পাপড়ির মতো দুখানা ডানা শুকিয়ে নিচ্ছে । —‘বাভাসটা যেন কেমন কেমন লাগছে —’বলে প্রজাপতির ডানার মতো ডোরাটান পুরোনে আমলের কাশ্মেরী শালখানা র্কাধ থেকে নামিয়ে বললেন, —‘বাদশাবাবু ও পাথরেব চাতালে লিখে রাখ — ‘রাম নামের টানে হনুমান আসে, চিটে গুড়ে যেন পড়ে মাছি।’ ‘এখন এই শোলোকের নিচে তিন শ’ জয়রাম লিখে ছাড় -- দেখবে কলা বাগান ছেড়ে সব হনুমান এই স্থানে জড় হবে, কলার আর নামও করবে না। বেলও পাবে না বুড়ো গাছে, খেয়ে বাচুক গুটি পোক। —বন্ধ থাক ক্ষেতে ঢাকা–বলে খাতাঞ্চিমশায় ঘরমুখে হলেন । খাতাঞ্চিমশায়কে ঘবে দিয়ে সোনাতন বেলতলার ঘাটে ফিবে এসে বললে –‘বাদশাবাবু রাম লিখতে মিছে তখলিফ নিচ্ছে । কলির হনুমান প্রায় মানুষ হয়ে গেছে ও নামে ভুলবে না । আমার কথা শোনো চাই বুড়োকে ধরে পড় যদি কিছু হদিস বাংলাতে পারেন তো কলা-বাগান রক্ষে পায়।’ বুড়ো মালীও এ কথায় সায় দিয়ে বসলো ঘাস নিড়োতে । 離 籌 鄰 ¢ ማልዓ • רכ\-}ס\ }eי