পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—অট্টহাসি, পষ্ট হাসি, কাষ্ঠ হাসি, চাপা হাসি, বাকী হাসি, ঢালা হাসি, মুচকি হাসি —কত দেখলাম দিদি এই বয়সে । —ওলো, উটকে দার্ত ছিরকুটে মরতে দেখতিস তো বুঝতিস মন্থরীর হাসি কী প্রকারের। পিঠের কুঁজ পর্যন্ত টানা সে একপ্রকারের উলটো হাসি। দেখলে ভয় করে, শুনলে কান্না পায়, মাথা ঘোরে পিত্তি জ্বলে যায় . দিদি, মস্থরী যে দিন কাদবে সেদিন কী কাজ হবে বল তো ? কাদবে লে। কাদবে মন্থরী কাদবে একদিন —সেদিন বেঁচে থাকি তো এসে বলব। এখন চলি । —বসি ও বার্তা একবার এদিকে শুনে যেও । —সর্বনাশ, সাপের মাথায় পা পড়েছে, কঙ্কুকী বুড়ে আড়াসী পেতে সব কথা শুনছে, এখন কী করি ? দে ভাই রামদাসী, তোর গায়ের ধোসাখান মুড়ি দিয়ে পড়ি, আমার ভালকো জর এসে গেল। তোরা পালা, যে যার পথ দেখ । —আসল খবরটা শুনতে রয়ে গেল যে মন্থর অত হাসছে কেন ? —কাল প্রকাশ পাবে আজ আর শুধোসনে । t —বলি বার্তা, শুনে গেলে না । —যেতে পারলে তো যাই, জ্বর এসে গেছে —ছুই পায়ে বেদন । — আচ্ছ। আমিই আসছি । আর কেউ নেই তো ? —ছিল কু-একজন পায়ে তেলঢুকু ঘষে দিয়ে এই মাত্তর যে যার কাজে গেল । —ঠিক বলছ ? —ঠিক নয় তবে কি বেঠিক। আমার নাম নয় বার্তাদাসী, যদি রাঞ্জবাড়িতে কথা প্রকাশ করে বলি যার তার কাছে। কেন ডাকলে শুনতে পাই কি ? চটকা ভেঙে তুমি সজাগ হয়ে মেজোরানীর অন্দরে কী কথাটি শুনলে সেইটি শুনলেই আমিও তোমায় ডাকলেম কেন বলে ফেলি । Qb">