পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খবরটা কে রটাল তার ঠিক নেই, কিন্তু লোকের মুখে-মুখে বামুনে ডোবা হয়ে গেল বাধা-পুকুর, কুটির হয়ে গেল সাত মহলা বাড়ি। ছটি পুত্র ছাড়া ব্রাহ্মণের মুখে আগুন দিতে এত যে আত্মীয় কুটুম ছিল তা সেই তিন ঘড়া ধনের খবর রটাবার পব প্রথম প্রকাশ হল । বুড়োর অন্তকালে আপন জনের অভাব হল না | অন্তকালে কেউ মুখে জল ঢালে, কেউ দেয় পাখার বাতাস । কেউ চাপডায় আপনার গালে । ত্রিকোটি-পতি মলো বলে — করে কেউ হা-হুতাশ । অন্তর্জলির কালে পড়শিরা শুধালে – সন্তাপণ দাদা, ধনের ঘড়াকটা পুতে পালালে ? বেলা অসকালে, চোখ তুলে কপালে তিন আঙলে কী দেখালে— বোঝা গেল কি বোঝা গেল না। রটনা হল, তেমাথা পথে পুতে গোল তিন ঘোড়া সোনা মানকচুব আডালে । ত্রিকোটীশ্বর মলো, হল প্রচার। হয়ে গেল চন্দন কাঠে রাজঘাটে সৎকার। তারপর গড়াল শ্রাদ্ধ, টাকার ভাগ নিয়ে দুই ভায়ে বাধল তকরার। জ্যেষ্ঠে বলে কনিষ্ঠ ভাগ দেব সমুচিত, জ্যেষ্ঠ বলে ধনটা কোথা খোজ তো উচিত । &br8