পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভরতমুনির হাতে খট তা’লে মৃদঙ্গ তেড়ে বেজে চলেছে —খট খট, খটাং চটপট চটাং ! নারদী বীণার তার কাপতালে বলে চলেছে –নেচে যান নেচে যান –ঘুরপাক, খান ঘুরপাক চটপটাং ! পঞ্চকন্যা —তারা এখন নাচছে —যে তাল কাটতে কাটতে সামলে যাচ্ছে — নাচিতে নাচিতে বাড়ে নৃত্যের তরঙ্গ সুর.সভা তলে বেধে গেছে রঙ্গ শেষে পঞ্চম সোয়ারীতে —সম না আসিতে পঞ্চকন্যা করিল তালভঙ্গ । ব্যস আর কি —ঠক করে ঠিকরে-পড়া অঙ্গুষ্ঠার হারের আংটি —খসল তর্জনীর গুজরী পঞ্চম –ছিড়ল মধ্যমার মধ্যমণি হার – অনামিকার দামী শাড়ির পাড় —কনুই মটকে বাহুস্তম্ভ কনিষ্ঠার । নারদ বলে উঠলেন –‘ওহে ভরত আর দেখ কি ? চল সরে পড়ি তুলে মৃদঙ্গ ! e সেই সময় ইন্দ্রসভার নীল ঝাড়গুলো হঠাৎ ঝড়ে তুলে উঠল, সঙ্গে সঙ্গে বজ্রগম্ভীরস্বরে ইন্দ্রের অভিশাপ— ‘বড়োই গর্বিত। তোর হলেছিলি মনে, স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে থাকৃগা গাধিনন্দনের তপোবনে, মুক্ত হবে শাপ হরিশ্চন্দ্রের পরশনে ? যেমন এই কথা অমনি –আকাশ থেকে পড়ল মাটির দিকে গোত্ত খেয়ে পঞ্চকন্য, যেন কল-ছড়া পাচ পাঁচটা চেং-ঘুড়ি, চিলের মতে। চেঁচাতে চেঁচাতে । ●。S) অ, ৩য়ু-৩৮