পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দ্রের স্বর্গে তো শাপ-শাপান্ত চুকল – এদিকে শোনো হরিশ্চন্দ্রের কেমন করে কপাল পুড়ল । শাপভ্রষ্ট পাঁচ-পাঁচটা দেবকল্পা –পাচী, পাঞ্চি, পাংচী, পংচী, পেচী নাম নিয়ে পাঁচ-পাচি চেহারার পাচটি গায়ের মেয়ে হয়ে গাধিনন্দন বিশ্বামিত্রের তপোবনের কাছেই ভুই-মালীদের পাড়ায় জন্ম নিয়ে দিনে দিনে খেলাধুলো করে বাড়ছে। আসছে যাচ্ছে ফুল পাড়ছে পাতা ছিড়ছে বিশ্বামিত্রের তপোবনে, উৎপাত বাধাচ্ছে যখন তখন কারো বারণ কানে না শোনে বিশ্বামিত্রের পাচ শিষ্য — উচ্চুম্বর, কমণ্ডল, গৰ্গরী, নিবার বল্কল পাচ কন্যায় করে দৃশ্য পাট শাট তুলে পদ্মপাত্রে পদ্য লিখছে যজ্ঞ ডুমুর খেয়ে কয়জন একমনে । গুম হয়ে লেখে উচ্চুম্বর –গৰ্গর লেখে ভাবে গর গর নিবার অনিবার লেখে গান বনপারে চেয়ে— কমণ্ডল ফেলছে কেবল চোখের জল, বল্কল লিখছে প্রাণের খবর -গাছে ছাল আঁচড়িয়ে । নিত্যতার ফুল তোলে বিশ্বামিত্রের তপোবনে ডাল ভাঙে পাতা ছেড়ে বারণ নাহি শোনে । প্রভাতে আসে তারা চন্দ্র হলে ক্ষীণ লুকায়ে আসে লুকায়ে যায় —ধর না দেয় কোনোদিন পাচটি বহিন –যেন বনের হরিণ ফেরে গহনে গহিন । দিন না হতে আসে অত্র, –চিহ্ন রেখে যায় ছিন্নপত্র । পলায় দ্রুত পায়, মন হলায় নূপুর সিঞ্জনে হায়রে হায়, বনের সীমায় —এই পড়ে এই পড়ে না নয়নে । &ఏ8