পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হৈ চৈ পড়ে গেল দাস হাটে । কিন্তু তিন কোটি সোনা দিয়ে নফর কে কেনে ; এ বলে পাচ সিকে’ –ও বলে ‘দশ সিকে –সে বলে ‘আধ কুনকে চাল ছ বেলা, বছরে দুধানা কাপড় —এই চলছে ডাকাডাকি, এমন সময়ে – কালু নামে হাড়ি এক ছিল সে নগরে, সে বলে আমার কর্ম আছে তো নফরে মড়া জালাবে, চড়াবে শূকরে। তখন কালু হাড়িতে রাজাতে কথা হচ্ছে – ‘কালুরে চাহিয়া রাজা বলিছে বচন, তুমি যাহা বলিবে তা করিব পালন । কালু বলে শুন ওহে পুরুষ রতন, আপনার মূল্য লবে কতেক কাঞ্চন ? রাজা বলে নাহি জানি মিথ্যা ব্যবহার, স্বর্ণ লব তিন কোটি মূল্য আপনার । কালু হাড়ি তিন হাড়িতে তিন কোটি সোনা দিয়ে রাজাকে কিনে নিলে –বেচাকেন। শেষ হয়ে গেল । সাত কোটি সোনা পাচখানা গরুর গাড়িতে বোঝাই দিয়ে চলছেন বিশ্বামিত্র অযোধ্যায় দিকে –পাচ শিষ্য সোনার তালের উপর বন মানুযের মতো বসে। কাশী ছাড়িয়ে সারঙ্গ বন, সেখানে গাড়ি পৌছল ভরসন্ধ্যাবেল –ছুদিকে সার সার সারুং গাছ ঘন ছায়া ফেলেছে সরু পথের উপরে —আকাশ দেখা যায় না –উপরে ডাকছে ঝিঝি, নিচে ডাকছে ঝিঝি —হঠাৎ রাত ছপুরে ‘হে রে, রে, হাক দিয়ে ডাকাত পড়ল –দেখতে দেখতে সাত কোটি সোনা লোপাট। পাচ জোড়া গরু পর্যন্ত । গৰ্গমুনি লম্বা পা ফেলে দৌড়ে Woobr