পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখানে সম্বিৎ পেয়ে – পুত্র কোলে লয়ে শৈব্যা করিছে ক্রন্দন কোথা গেলা পুত্র মোর রোহিত নন্দন । কোথা গেলে ওহে হরিশ্চন্দ্র যশোধন, আসিয়া দেখহ তব মরিল-নন্দন । কান্নার রোল শুনে গর্গমুনি ছুটে বাগানে বুেরোলেন। সঙ্গে শিষ্যেরা "চল চল দেখি কী হল’ বলে দ্রুতবেগে উপস্থিত। সবাই স্তম্ভিত, ভীড় করে দাড়িয়ে —এমন সময় ব্রাহ্মণ —‘এই যে পেয়েছি’ বলে লাঠি ঠুকতে ঠুকতে এসে বললেন –‘আরোমশায়, দাসীটা পালিয়ে এসেছে। এখন মায়া কান্না কাদছে ঘাটে বসে । উঠে ट्रांद्म- * পুত্র কোলে শৈব্যা ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, কান্দিতে কান্দিতে কহে ব্রাহ্মণের পাশ সপাঘাতে আজ মরিল নন্দন, রেখে গেছে পূজার পুষ্প করিয়া চয়ন । ব্রাহ্মণ তাড়াতাড়ি সোনার ঝারি আর আঁকশিটা তুলে নিয়ে – ‘এ ফুলে আর কি কাজ হবে? —বলে ফুলগুলো মাটিতে ফেলে ঝারিট আর আঁকশিটা জলে ধুতে ঘাটে নামলেন। শৈব্য আকাশে চেয়ে রইলেন —হায় এমন কে আছে দেয় প্রবোধ বচন । • ব্রাহ্মণ স্নান করে ঝারি অঁাকশি ধুয়ে শুদ্ধ হয়ে এসে বললেন – ‘আরো মড়া কোলে করি কেন করিছ ক্রন্দন মরিলে অবশু জন্ম, জন্মিলে মরণ । ৬১৮