পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এতেক শুনিয়া শৈব্যার বচন, হস্তের মুদগর ত্যজি আইসে রাজন। পুত্র লইয়া শৈব্যা পড়ে অথস্তরে, কোথা হরিশ্চন্দ্র বলি কান্দে উচ্চৈঃস্বরে । প্রভু হরিশ্চন্দ্র রাজা গেলে কোথাকারে আসিয়া দেখহ মৃত আপন কুমারে। হরিশ্চন্দ্র বলি শৈব্যা কান্দে বিদ্যমান, তখন ফিরিল যে রাজার পূর্বজ্ঞান। হরিশ্চন্দ্র বলেন –‘রানী এও ছিল কপালে সর্পাঘাতে পুত্র মরিল অকালে।’ শৈব্য বলেন ‘হায়রে একী হল আজ ? রানী বলে ঘাটে পাটনী করে উপহাস ! রানী খেদে লজ্জায় উঠে যেতে চান, সেই সময় রুহিদাস কোলের মধ্যে নড়ে উঠল । গৰ্গমুনি এতক্ষণ চুপ করে ছিলেন –‘যাক বেঁচে গেছে ছেলেটা ’ বলে শিষ্যদের নিয়ে মঠে ফিরলেন । দেখতে দেখতে নগরময় গুজব রটল, বাজারে ঘাটে বলাবলি চলল – দুঃখের পরে দুঃখ বিশ্বামিত্র দিল, পুষ্প তুলিতে রাজপুত্র সপেতে কাটিল। কাদে রাজা হরিশ্চন্দ্র কান্দে শৈব মাতা, হেনকালে ধর্মরাজে পাঠালো বিধাতা । পদ্মহস্ত বুলাইতে বালকের গায়, বিষজাল দূর হয়ে বালক হেসে চায়। অদ্ভূত দেখিয়া কালু কহিল রাজায় তুমি প্রভু আমি ভূত্য ঘুচালাম দায়। ব্রাহ্মণী ব্রাহ্মণ আসি বলিল শৈব্যারে রানী হয়ে দাসীপনা সাজে কি তোমার। ఆవ