পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপদেই পড়া গেছে দাদা, তুমি একটা ব্যবস্থা কর –হাপ ছেড়ে বঁচি ? বলে গৰ্গমুনি বিশ্বামিত্রের কাছে বশিষ্ঠকে নিয়ে ব্যাপারটা খুলে শোনালেন। বশিষ্ঠ বললেন, —হরিশ্চন্দ্রের পুত্রকে রাজ্যভার দাও, বিশ্বামিত্রের নামে উমি, রাজ্য চালান । মাঝে মাঝে বিশ্বামিত্র—’ —‘ন না, আমি আর না ’ বলে চটপট প্রস্থান বিশ্বামিত্রের।’ অযোধ্যার রাজা আসি দিল দরশন, রাজাভার পুত্রকে করিল সমর্পণ । এদিকে এই পর্যন্ত তো হয়ে চুকল। বিশ্বামিত্রের যত রাগ পড়লো ইন্দ্রের উপর । পঞ্চকন্যাকে তপোবনে না পাঠালে তো এ ঘটনা হয় না । এই সময় - নারদের সঙ্গে দেখা —একে মনসা তার ধুনোর গন্ধ । বিশ্বামিত্র বলেন –‘আমি রাজসূয় যজ্ঞ করিয়ে হরিশ্চন্দ্রকে ইন্দ্রত্ন দিয়ে সকুটুম্ব স্বশরীরে স্বর্গের সিংহাসনে না বসাই তো কী বলেছি।” নারদ সংবাদ দিতে ছুটলেন ইন্দ্রকে । গৰ্গমুনি চুপি চুপি শিষ্যদের বললে –‘ওহে ভাল বুঝছি না। হৰিশ্চন্দ্রকে নিয়ে কী আবার ল্যাঠা বাধে দেখ। ইন্দ্রেব সঙ্গে কলহ – কোনদিন অকস্মাৎ বজ্রাঘাত না পড়ে।’ ছাত্রেরা পাচজনে বলাবলি করে —“দেখ রাজা মতো আর হেঁটে যাবে না স্বর্গে। রথ একখানা স্থখানা আসবেই। তাতে চড়ে আমরাও একেবারে নন্দনকাননে পঞ্চকন্যাতে –বুঝলে ? উচ্চুম্বর বললে –‘তারা যদি শাপভ্রষ্ট হয়ে আবীর কোথাও জন্মে থাকে ? রুমণ্ডল বললে –‘না না, ও কথাই নয়। তা হলে, ধ্যানে আর্মি জানতে পারতুম। রাজসূয় যজ্ঞটা হলে হয় একবার।’ গগরী বললে –‘তা হলে এই পরামর্শ ই পাকা রইল।” ఆనరీ