পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর দুজন বললে –পাচজনের যা মত, আমাদেরও তাই।’ সকলে বললে – তাহলে চল সকলে অযোধ্যায় যাই স্বশরীরে স্বর্গে যেতে রথটা ধর চাই তলপি-তলপা বেঁধে সেঁধে নাও ছেড়া কুশাসন কমণ্ডুলটাও ফুটাে গাগরীট, ফাট বন্ধল নীবার ধান ডুমুর ঝাক৷ সবই নাও গুছাই সুচাই —দেখ গুণ ছুচ স্থতা –কিছু তো পড়ে নাই।’ ‘কিছু না, কিছু না, বলতে বলতে পঞ্চশিষ্য স্বর্গে যাবার রথ ধরতে অযোধ্যামুখে দৌড়লেন। গৰ্গ বললেন –‘ওহে সবাই আস্তে চল, নয় তো তোমাদের সঙ্গে দৌড়তে পথের মধ্যেই আমার প্রাণান্ত হবে।’ পাচ শিষ্য তখন কী করে –বুড়োকে একখানা ছেড়া মাছরে জড়িয়ে কাধে ফেলে চলল তেজে অযোধ্যার মুখে। পথে দেখলে কালু হাড়িও চলেছে। তার কাচ্চাবাচ্চ নিয়ে —শুয়োরের পাল। কুকুর বেড়াল নিয়ে দলে দলে হাড়ি হাড়িনী কুটুম্ব সব । গৰ্গ বললেন ডেকে —‘ওহে তোমরাও স্বশরীরে স্বৰ্গযাত্র। করতে চলেছ নাকি ? কালু বললে –‘আজ্ঞা হ্যা গর্গ বললেন —‘যাক নিশ্চিন্ত হওয়া গেল। ইতিমধ্যে যদি মরি তো পোড়াবার লোকের অভাব হবে না।’ "হরি বল হরি বল দায় মুক্ত হরিশ্চন্দ্রের জয় বল। ૭૨8