পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসিদ বাদশার দেওয়া —বাখারী নয় শাখারির সরু সরু কাটি দিয়ে গড় পুরোনো কালের একটা খাচায় বসে বসে সারা দিন দরজার কাঠিতে চোচ ঘষে আর বলে – ওগো ভাই দ্বার খোলে| বারে যাই, বহুত দিন না-দেখি দুনিয়া তুনিয়ার হাওয়া নিয়া ঠাও করি মম হিয়া গো ! পাখি নিশ্চয় ছিল মধুমালার দেশের বাসিন্দা –সেই যেখানে ছিল সঙ্গ-মর্মর পাথরের খন্দকে বন্ধ রাজপুত্তরের মা আর ধাই মা। এক এক দিন ভোরে উঠে তখন পাখিটাকে দুয়োরের খিল খুলে বলি –বেরিয়ে যা এইবেল, কেউ কোথাও নেই । পাখি খোলা দুয়োরেব চৌকাঠে বসে দু'বার ডানা মেলায় উডি উড়ি কৰে যেদিক থেকে মালতী ফলের লতায় ঘিরে মৌমাছির দল –ঠিক সেই সময় কাক ডাকে —না না না ! আমি ভয় পাই, ঝপ করে বন্ধ করি দরজা । এই অবস্থায় তখন কাটছে দিন-রাত – বন্ধ খাচায় বন্ধ ঘরে অঝোরে ঝরে নয়ন জল –নিজের দেশে যাও ফুরিয়ে গেছে, পরের দেশের টিকিট কাটাবার ইচ্ছেও নেই, পয়সাও নেই। পদ্ম পুরাণ মনসার পাচালী গাইছেন কেবলি বসে-বসে শুয়ে-শুয়ে জবুথৰু তোমাদেব আবুবাবু ভাঙা গলায় –বেলা যায় না, বেলা যায় না যায় না কেন দারুণ বেলা ! হঠাৎ এসে হাজিব কহবতী কথামালার, সঙ্গে ছেলাম বাবা। কোন কালে কোন দেশে তাদের ছজনার সঙ্গে দেখ তা মনেই নেই। তারাও চেষ্টা করে ঠিক করতে প লে না যে পদ্মপুকুর ইটালিতৃে, না পুরন্দায়, না মগধে, না মগরায়, না এই জোড়ার্সাকোর গলির ৬৩১