পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. বললে, আমি ওইটের ভিতরে বসে একটা কান-কুটুরে পোকা কুট ‘কুট করে খাচ্ছি এমন সময় আঃ, কী যে দেখলেম, কী যে শুনলেম তা কী বুলি। - কুঁকড়ে বললেন, তার পর। চড়াই অমনি বলে উঠলে, তার পর যদি বলি ওই মাটির টবট দিব্যি শুনতে পায় তবে কি তুমি অবাক হবে নাকি । * কুঁকড়ে বললেন, গামলা থেকে লুকিয়ে শোনা বিদ্যেও তোমার আছে দেখছি।’ চড়াই জবাব দিলে, “শুধু শোনা নয় লুকিয়ে দেখার লুকি-বিদ্যেও আমি জানি, আমি এমনি অবাক হয়েছিলেম যে কখন যে গামলার তলার ফুটোটা দিয়ে উকি মেরে সব দেখেছি তা আমার মনে নেই। আহ, কী দেখলেম রে, কী সুন্দর কী মুন্দর। কুঁকড়ে তাকে এক ধমক দিয়ে বললে, বটে, লুকিয়ে দেখা ! তফাৎ যাও। কুঁকড়ে যত বলেন, তফাত তফাত, চড়াই ততই লেজ নাচিয়ে বেড়ায় আর ঘাড় নেড়ে কুঁকড়োর নকল করে কিচ কিচ করে, বিদ্যে ফাস লুকি-বিদ্যে হল ফাস ফুস-মস্তর হল ফাস ক্যাবৎ কাব্যাৎ । কুঁকড়ো তার রকম দেখে হেসে ফেললেন। সোনালিয়া বললে, চড়াই যখন সত্যিই তোমায় ভক্তি করে তখন ওর সাত খুন মাপ। চড়াই বললে, ‘ভক্তি করব না ? এমন আলেয়া বাজিগর বুজরুগ কেউ কি দেখেছে, কী সকালের রঙটাই ফলালে কী গানটাই গাইলে গা যেন তুবড়িবাজি ভুস।” বললে, ‘এখন তোমরা দুই বন্ধুতে আলাপ-সালাপ করে, আমি চললুম। কুঁকড়ে বললে, 'কো-ক্-কা-ক কোথায় ? সোনালি বললে, “ওই ষে সেই – ' চড়াই অমনি বলে উঠল, তাই তো, কুঁকড়োর গানের গুণে চিনেমুরগির ছোটাে হাজিরিও জমতে চলল, সাধে বলি কুঁকড়োর গান গাওয়া, চিনে-মুরগির চা খাওয়া, একসঙ্গে আসা যাওয়া। (two