পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনি একটা পর্দাপার্টি দেবেন। দাড়কাক তখনো হাপাতে হাপাতে ফুকরোচ্ছে, রামধন্থস, রঙবেরঙ, বুদেলা মল, রণছোড় ভাগি,ধান ভগৎজিউr.’ যত মাড়োয়ার দেশের মোরগ, সিন্দি, কচ্ছি, আরোদ-বরোদ সবাই এলে পর দাড়কাক মুখ ফিরিয়ে দেখলে – কুঁকড়ো। সে তার পদবী উপাধি ফুকরোতে যাবে, কুঁকড়ে বললেন, কিছু দরকার নেই। শুধু জানিয়ে দাও আমি কুঁকড়ে এলেম ।’ দাড়কাক তার আপাদমস্তক দেখে নিয়ে মুখটা বেঁকিয়ে জোরে হাক দিলে, কুঁকড়ে-ও-ও। কুঁকড়ো অতি শান্ত ভালোমানুষটির মতো চিনি-দিদিকে নমস্কার করে বললেন, “আমাকে মাপ করতে হবে, আমার সাজসজ্জা পদবী উপাধি কিছুই নেই, আমার ঠিক যতগুলো আঙুল হওয়া উচিত তাই আছে, আর মাথার এই লাল একটিমাত্র টুপি, জন্মাবধি এইটেই পরে বেড়াচ্ছি, সে কথাটা লুকিয়ে লাভ নেই। আর আমার এই গায়ের কাপড় —এটা পরে এখানে আসাটা বাস্তবিক অন্যায় হয়েছে ; দেখে-না রঙচঙ বেশি নেই, কেবল একটু কচিপাতার সবুজ আর পাকা ধানের সোনালি। মাফ করে, আমি নেহাতই একটা সাধারণ কুঁকড়ে যাকে দেখা যায় ধানের গোলায়, চালের মটকায়, গির্জার চুড়োয়, সোনায় মোড়া ছেলেদের হাতে টিনের বঁাশির আগায়। রঙ-কর, জলেস্থলে, সর্বত্র । কেবল কোনো চিড়িয়াখানায় আর জাদুঘরে আমার দেখা পাওয়া ষাবে না।’ চিনি-দিদি বললেন, “তা হোক। তোমার কাজের সাজে এসেছ তাতে কী দোষ । তোমার সময় কোথা যে, সেজে বেড়াবে ? কাজের পাখি তোমার সব দোষ মাপ । কিন্তু যারা বিয়েতে যায়, কেরানির কিংবা উকিল বেরিস্টার মোক্তারের সাজ পরে, কিংবা বুট হাট পরে যায় বউভাতের ভোজে, তাদের আমি কিছুতে মাপ করি নে।’ می দাড়কাক ফোকরান্স, জুড়ি লোটন পায়রা। কুঁকড়ো ভাবলেন বুঝি তার বন্ধু কবুদ আর কবুদনী। কিন্তু ফিরে দেখলেন সাদা হুটি " سوانية