পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুঁকড়োর কাজ খুন নয়—ভয় যারা পায় তাদের অভয় আর আলো দেওয়া। তিনি কিন্তু তাই বলে কাপুরুষ ভীরু ছিলেন না; এগিয়ে এসে বললেন, তবে লড়ায়ের আগে একবার আলাপ পরিচয়ট হয়ে যাক ৷” বাজর্থাই চেচিয়ে বললে, ‘মের নাম ফতে-জঙ্গ ভাগবাহাদুর মালিকিময়দান ? কুঁকড়ো হেসে বললেন, আর আমার নাম কুঁকড়ে । লড়াই বাধে দেখে সোনালি ভয় পেয়ে জিম্মার কাছে ছুটে গেল । কুঁকড়ে বললেন, ‘জিন্মা, খবরদার, তুমি এতে কোনো কথা বলতে পাবে না, তুমি নড়তে পাবে না, যেখানে আছ সেখান থেকেই শেষ পর্যন্ত দেখো ।” সোনালি বললে, একটা গোলাপ ফুলের জন্যে প্রাণ দিতে যাবে ? কুঁকড়ে গম্ভীর সুরে বললেন, ফুলের অপমানে সূর্যের অপমান, তা জান ? ? সোনালি চড়াইয়ের কাছে ছুটে গিয়ে বললে, ‘তুমি যে বলেছিলে সব মিটিয়ে নেবে ? চড়াই গম্ভীর হয়ে উত্তর করলে, “সব মেটে কিন্তু জ্ঞাতির ঝগড় মেটে না গো মেটে না।’ চিনি-দিদি বুক চাপড়াতে লেগেছেন আর বলছেন, এ কী গো । লোকের বাড়ি নেমন্তল্পে এসে খুনোখুনি । এই বলছেন আর কুঁকড়োর লড়াই দেখবার জন্তে সবাইকে বসাচ্ছেন—ফুলের টবে, লাউকুমড়োর মাচায়। দেখতে দেখতে সব পাখি দুই পালোয়ানকে ঘিরে বসে গেল কুস্তি দেখতে। সবপ্রথমে মুরগির গোল হয়ে বসেছে, ছানাপোন। কোলে, তার পর হাস ইত্যাদি, শেষে যত পোশাকী মোরগ, ময়ুর এর । জিন্ম কুঁকড়োকে ডেকে বললে, ‘জেতা চাই, পাহাড়তলির নাম রেখো ।” - ԳՅ