পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুঁকড়ে একবার চারি দিক চেয়ে দেখলেন, সবাই আজ তাকে যেন মরতে দেখতে ঘাড়গুলো বাড়িয়ে বসে আছে মনে হল । কোথাও একটু ভালোবাসা নেই—হিংসে আর খুনের নেশায় সবার মুখ বিকট দেখাচ্ছে। কুঁকড়ে একটি নিশ্বেস ফেললেন। সোনালি চোখের জল মুছে বললে, আহ, কাচ্ছাবাচ্ছাগুলির কী হবে গে৷ ” কিন্তু কুঁকড়োর প্রাণে কোনো দুঃখু নেই, তিনি বুঝলেন যে, র্তাকে মরতেই হবে। তবে মরবার পূর্বে কেন না তিনি সবার কাছে প্রচার করবেন, যা এতদিন কাউকে বলা হয় নি । এই তো ঠিক সময় । তবে আর কেন গোপন রাখা তার মহামন্ত্র। কুঁকড়ে সবাইকে বললেন, ‘শোনো তোমরা আমার গোপন কথা, মহামন্ত্র, যা এতদিন বলি নি, আজ বলে যাব ।’ সবাই যেটা জানতে ব্যস্ত, সেটা আজ কুঁকড়ে প্রচার করবেন, মুরগিদের আনন্দ আর ধরে না। কুঁকড়ো বাচুক মরুক তাতে কী। মন্তরটা শুনতে পেলেই হল। তারা সবার আগেই গলা বাড়িয়ে বসল। কুঁকড়ে সেটা দেখলেন। হায়দ্রাবাদিটা কেবল তাল ঠুকছিল, তার আর তর সয় না। কুঁকড়ে তাকে বললেন, ‘ভয় নেই, পালাব না, একটু সবুর করে । তার পর সবার দিকে চেয়ে বললেন, কথাটা শুনে তোমাদের যদি খুব হাসি পায় তো ! ই হেসে ; তামাশা টিটকিরি দিতে চাও তাও দিয়ে, আমি তাই দেখেই সুখে মরব।’ সোনালি চেচিয়ে বললে, ‘ছিং, ও কী কথা । জিন্ম। বুঝেছিল, কুঁকড়োর মনের কথাটা কী ; তাই সে বললে, বেনা বনে মুক্ত ছড়িয়ে কী লাভ হবে বন্ধু। কিন্তু কুঁকড়ে যখন বলেছেন তখন তিনি আর সে কথা নড়চড় হতে দেবেন না। র্তার মুখ দেখে জিম্ম আর সোনালি দুজনেই চুপ হয়ে গেল। কুঁকড়ে চারি দিকে দেখে বললেন, নিশাচরদের বন্ধু, অন্ধকারের পাখি সব তবে শোনে, আর শুনে আমায় পাগল বলে খুব হাসো। আজ আমার কাছে তোমাদের কিছুই লুকোনো রইল না, কে আমার আপনার, কেবা পর সব চেনা ጓ¢