পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিন্ম রাগে ফুলতে লাগল আর তার দুই চোখ দিয়ে দরদর করে জল পড়তে লাগল। কুঁকড়োর হুকুম, তার নড়বার জো নেই। কিন্তু সে তাঁর বন্ধুর দুর্দশ আর দেখতে পারে না। . সে ধমকে উঠল, ‘তোরা সব পাখি, না মানুষ ? জিম্মা বলতে চায় যে মানুষ ছাড়া এমন নির্দয় আর কে হতে পারে। কিন্তু তার কথা জোগাল না ; সে কেবল বলতে লাগলে, ‘ওরে, এরা পাখি, না মানুষ ? কুঁকড়ে যখন সান পেয়ে আবার চোখ মেললেন, তখন সব চুপচাপ রয়েছে, হায়দারি মোরগ বেড়ায় ঠেস দিয়ে হাপাচ্ছে, জিন্ম কেবল কাছে দাড়িয়ে ; আর দূরে, সব পাখির দলের থেকে দূরে, ডানায় মুখ ঢেকে রয়েছে সোনালিয়া । কুঁকড়ে জিন্মাকে বলছেন, ‘এই শেষ, না যন্ত্রণার আরো কিছু রেখেছে পোশাকী পাখি আর তাদের দলবলেরা ’ এমন সময় দেখা গেল, সব পাখি পা টিপে টিপে কুঁকড়ে যেখানে পড়ে রয়েছে সেই দিকে দল বেঁধে এগিয়ে আসছে ; সবার মুখ শুকনো, যেন কী-একটা ভয়ে সবাই জড়সড়, কেউ আবু হাসছে না । কুঁকড়ে বললেন, "আঃ জিন্ম, দেখো দেখে ওরা আমায় ভালোবাসে কি না দেখো । আহা সবার মুখ শুকিয়ে গেছে। এরা যদি শত্রু তবে আর মিত্র কে। আজ আমার ভুল ভাঙল, আন সবাই আমায় ভালোবাসে জেনে সুখে মরতে পারব।’ জিন্মাও একটু অবাক হয়ে গেল, এই যারা ‘মার মার করে কুঁকড়োকে গাল পাড়ছিল, তারাই আবার হঠাৎ বন্ধু হয়ে উঠল এমন যে কেঁদেই অস্থির! কুকুর ঘাড় নেড়ে ভালো করে পাখিদের দিকে চাইলে ; দেখলে, সবাই ভয়ে ভয়ে আকাশের দিকে এক-একবার চাচ্ছে আর কুঁকড়োর কাছে পায়ে পায়ে এগিয়ে আসছে। পাখিরা কখন কীভাবে থাকে জিম্মার বেশ জান ছিল, সে কুঁকড়োকে চুপি চুপি বললে, আমার তো বোধ হয় না ওরা তোমার প্রাণের জন্তে ভয় পেয়েছে একটুও । ভয় ওইদিক থেকে আসছে শিকরে বাজ হয়ে, “ልጫ