পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্ত গেছে; সন্ধ্যার পাখিদের গান বন্ধ হয়েছে ; দু-একটা কাঠবেড়াল তখনে পাতার মধ্যে উস্খুস করছে ; খরগোশগুলো তাদের গড়ের বাইরে বসে একটু সন্ধের বাতাসে জিরিয়ে নিচ্ছে ; বন আস্তে-আস্তে নিঝুম হয়ে আসছে । রাত্রির অন্ধকারে গাছ সব ক্রমে যেন মিলিয়ে গেল ; সেই সময় ক্রমে-ক্রমে চাদের আলো ঘুমন্ত বনে এসে পড়ল। সে রাতের মতো বিদায় নেবার জন্তে সোনালি কুঁকড়োকে ‘আসি’ বলতে গিয়েই দেখলে খরগোশগুলো চোখ প্যাট-প্যাট করে তাদের দিকে দেখছে । আমনি এক ডানার ঝাপটায় সোনালি তাদের তাড়িয়ে দিয়ে বললে, ‘আসি তবে ? কুঁকড়ে বললেন, ‘দেখো, মনে রেখে৷ ” সোনালি বিদায় নিয়ে অশোক ফুলের গাছে তার মনোমতো ডালটির উপরে উড়ে-বসতে ফিরে দাড়িয়েছে, এমন সময় পায়ে তার কী-একটা ঠেকল। ইস্ ব'লে সোনালি সরে দাড়িয়ে দেখলে কী, সে তো কিছু বুঝতে পারলে না। কুঁকড়ে কাছে এসে দেখে বললেন, ‘সর্বনাশ, এ যে ফঁাদ পাতা রয়েছে। কে এখানে ফাদ পাতলে ? টুক্ টুক্ টুক্‌ তিনবার আওয়াজ দিয়ে সবুজ ফতুয়া লাল-টুপিটি মাথায় কাঠঠোকরা কোটর থেকে বেরিয়ে বললেন, ফাদটা বঁচিয়ে চলে, ওই গোলাবাড়ির মানুষটিই ফাদ পেতেছে, সোনালিয়াকুে ধরবে বলে।’ আমাকে ধরা তার কর্ম নয় । —ব’লে সোনালি মাথা ঝাড় দিলে। কাঠঠোকরা বললে, ‘শুনলুম সে তোমাকে ধরে পোষ মানাবে।’ কুঁকড়ে বললেন, তিনি খুব ভালো লোক, যদি তুমি ধরা পড়তে, তবে তোমাকে তিনি কষ্ট দিতেন না, এটা আমি ঠিক বলতে পারি।’ সোনালি বললে, ‘কষ্ট না দিন, কিন্তু প্রাণ থাকতে সোনালি তার পোষ মানত না, সেটাও ঠিক ? ফাদ পাতা হলে বনের সবাই সবাইকে সাবধান না করে নিশ্চিন্ত হতে পারে না, তাই খরগোশ এসে বললে, “দেখো, খবরদার ওই কলটাতে যেন পা দিয়ে না ; ছুয়েছ কি — ‘বোকো না তুমি। র্যাদে যে আটকায় কেমন্স-করে তা আমি واسH