পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমি মুরগিদের খবর নিতে এতক্ষণ ব্যস্ত ছিলে না ? কে কোথায় ঘুমোয়, কে কী খায়, কার কটি ছানা হল ? গোলাবাড়ির বাইরেও যে ডাল-কুত্তোটা তার পর্যন্ত খবর নেওয়া হচ্ছে। এও না-হয় সইলুম, কিন্তু ভোরবেলায় ডানায় পা মুছে চুপি চুপি.ও; বুঝেছি, তুমি একলা এই সোনার পাখিটাকেই ভালোবাস, কেমন ? কুঁকড়ো খানিক চুপ থেকে বললেন, ‘সোনালি, ভেবে দেখে, এই হৃদয়ের মধ্যে আলোটি যদি না দেখতে পেতে তবে কি এখানে আসতে তোমার ইচ্ছে হত । হৃদয়ের মধ্যে কিছু না থাকার চেয়ে আলো থাকা কি ভালো নয় । রঙিন-আলো দিয়ে গড়া সোনালিয়া । আমি আলো-কে ভালোবাসি তাই তোমাকেও ভালোবাসতে পেরেছি, আলোর দিকে হৃদয় পেতে যদি প্রতিদিন না দাড়াতেম, তবে ভালোবাসার ফোয়ারা যে এতদিনে শুকিয়ে যেত সে কি छांन नों ’ কুঁকড়োর কথায় সোনালির অভিমান বাড়ল বৈ কমল না। সে ঝগড়া করতে লাগল। কান্নাকাটি করে করে পাড়া জাগিয়ে তোলবার জোগাড় করলে। কুঁকড়োও একটু যে চটেন নি তা নয়। শেষে সোনালি বললে, “আচ্ছা আমার যদি মন রাখতে চাও, তবে কাল সকালে একেবারে গাইবে না বলো ' কুঁকড়ে বললেন, এ কী কথা । সমস্ত পাহাড়তলিটা যে অন্ধকার হয়ে থাকবে। সোনালি ঠোঁট ফুলিয়ে বললে, না-হয় থাকলই। তোমারই-বা কী, আমারই-বী কী কুঁকড়ো ঘাড় নাড়লেন, তা হতে পারে না। একদিন আলো বন্ধ ! সব যে ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাকে গাইতেই হবে।’ সোনালি বললে, “আচ্ছা, যদি প্রমাণ করে দিই, তুমি ন৷ থাকলেও সকাল হতে কিছু বাধল না, তখন ? কুঁকড়ে একটু হেসে বললেন, তখন সোনালি আমি সেখান থেকে তোমার সঙ্গে ঝগড়াও করতে আসব না, আর আলো হল কি না হল সে খবরও জানতে খুব উৎসাহ করব না। কেননা যেদিন ఫి 8