পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদ্মিনী বাপ্পাদিত্যের সময় মুসলমানেরা ভারতবর্ষে প্রথম পদার্পণ করেন। তারপর থেকে স্বর্যবংশের অনেক রাজা অনেকবার চিতোরের সিংহাসনে বসেছেন, রাজ-সিংহাসন নিয়ে কত ভায়ে ভায়ে বিচ্ছেদ, কত মহা-মহা যুদ্ধ, কত রক্তপাত, কত অশ্রুপাতই হয়ে গেছে ; কিন্তু এত রাজা, এত যুদ্ধবিগ্রহের মধ্যে কেবল জনকতক রাজার নাম আর গুটিকতক যুদ্ধের কথা সমস্ত রাজপুতের প্রাণে এখনো সোনার অক্ষরে লেখা রয়েছে । তার মধ্যে একজন হচ্ছেন মহারাজ খোমান— যিনি চব্বিশবার মুসলমানের হাত থেকে চিতোরকে রক্ষা করেছিলেন, যিনি আরব উপন্যাসের সেই বোগদাদের খালিফ হারুন অল রশিদের ছেলে আল মামুনকে চিতোরের রাজপ্রাসাদে অনেকদিন বন্দী রেখেছিলেন, আশীৰ্বাদ করতে হলে এখনে যার নাম করে রাজপুতের বলে— ‘খোমান তোমায় রক্ষা করুন ? আর একজন রাজা মহারাজ সমরসিংহ— যেমন বীর তেমনি ধাৰ্মিক । তিনি যখন নাগা-সন্ন্যাসীর মতো মাথাব উপর ঝুটি বেঁধে পদ্মবীজের মালা গলায় ভবানীর খাড়া হাতে নিয়ে রাজ-সিংহাসনে বসতেন, তখন বোধ হত যেন সতাই ভগবান একলিঙ্গের দেওয়ান কৈলাস থেকে পৃথিবীতে রাজত্ব করতে এসেছেন। তখনকার দিল্লীশ্বর চৌহান পুর্থীরাজের হাত থেকে শাহাবুদ্দীন ঘোরি যখন দিল্লীর সিংহাসনের সঙ্গে অর্ধেক-ভারতবৰ্ষ কেড়ে নিতে এসেছিলেন, সেই সময় এই মহারাজ সমরসিংহ তেরো হাজার রাজপুত আর নিজের ছেলে কল্যাণকে নিয়ে অর্ধেক ভারতবর্ষের রাজা পুর্থীরাজের পাশে-পাশে কাগার নদীর তীরে মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন । সেই যুদ্ধই তার শেষ যুদ্ধ। পৃথ্বীরাজ সমরসিংহের প্রাণের বন্ধু— তার আদরের মহিষী মহারানী পৃথার ছোটো ভাই । দুইজনে বড়ে ভালোবাস। So ー、Rー"