পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই কেল্লা থেকে চিতোরের রাজমুকুট নিয়ে পলায়ন করেছে ; শুধু তাই নয়, আমি সংবাদ পেয়েছি সে নাকি আবার সেই রাজমুকুট মাথায় দিয়ে নিজেকে রাজস্থানের রাজা বলে প্রচার করেছে। সূর্যবংশের এই ঘোর অপমানের একমাত্র প্রতিকার, সেই রাজমুকুট উদ্ধার করা। হাম্বির আর সুজন দুইজনেই এখন উপযুক্ত। দুইজনের মধ্যে যিনি সেই পাপাত্মার মুণ্ড সমেত মুকুট উদ্ধার করতে পারেন তিনিই রাজ্যের অধিকারী হউন । কৃতঘ্ন ভীল যে মাথায় মেবারের রাজমুকুট ধারণ করতে সাহসী হয়েছে, সে মাথা শীঘ্র আমি চাই, নচেৎ আমার জীবনে মরণেও শান্তি নেই। মেবারের দুই উপযুক্ত রাজকুমার বর্তমান থাকতে যদি সে মুকুট উদ্ধার না হয়, তবে জানলেম মেবারের সূর্যবংশ আজ নির্বংশ হয়েছে ; রাজ্যে বীর নেই, রাজসিংহাসন ভীল আর পাঠানের পাওয়াই শ্রেয়। কেল্লার যত সৈন্ত যত অস্ত্র আছে, দুই কুমার ইচ্ছামতে ব্যবহার করুন। আজ সভা ভঙ্গ করে। কোলাহলে রাজস্যল । ভুক্ত হল । তার পরদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে নিজের বন্ধু-বান্ধব সৈন্ত-সামন্ত নিয়ে সুজন বাহাদুর ডাকাত ধরতে চললেন । আজ তিনি ভারি ব্যস্ত। অন্তদিন বেলা এগাবোটার পূবে স্বজন বাহাদুরের ঘুম ছাড়ত না, আজ তিনি ভেব না হতেই প্রস্তুত । এত ব্যস্ত যে হাম্বিরকে সঙ্গে ডেকে নিয়ে যান তীব ও সময় হল না । কেল্লার জনপ্রাণী না উঠতে-উঠতে বড়োকুমার সুজনসিংহ দলবল নিয়ে বেলিয়ে পড়লেন । দু-একজন সামন্ত জিজ্ঞাসা করলেন, কই, ছোটে রাজকুমার গেলেন না ।” সুজনসিংহ হেসে বললেন, তিনি একটু আবাম করছেন। চলে। আমরা আগে যাই, তিনি মাহারাদি করে পরে আসবেন এখন।' অমনি একজন খোশামুদে রাজপরিষদ বলে উঠল, 'চলুন আমরা আগে তো গিয়ে ডাকাতেব বাসা ঘেরাও করি, পরে না হয় ছোটো কুমার এসে তার মুণ্ডটা কেটে নিয়ে যাবেন।’ অহাজন ব বললে, ‘হুঃ, রানার বুড়ে বয়সে ভীমরতি ধরেছে। একি যার তার কর্ম ? లి(