পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছে বিবাহের রাত্রে ফুলের কেল্ল দখল করে তবে কন্য-কর্তার বাড়িতে বর প্রবেশ করেন ? তোমার কন্যার সখীরা সে আয়োজন করেননি কেন ? মালদেব বললেন, ‘মন্ত্রী, আমি কন্যার পিতা বটে, কিন্তু বাড়ি আমার কোথা ? এটা যে মহারানার নিজেরই কেল্লা। নিজের ঘরে নিজে মহারান এসে প্রবেশ করছেন, সেখানে আমার কন্যার সর্থীর এসে তাকে বাধা দিতে সাহস পাবে কেন ? মন্ত্রী একটু হেসে বললেন, ‘দেখছি বাদশাহের মজলিসে আনাগোনা করে আপনার কুসংস্কার অনেকটা দূর হয়েছে। এখন চলুন, বিবাহকার্য সুসম্পন্ন করুন! লছমীরানীর হুকুম, আজ রাত্রেই বরকন্যা নিয়ে আমরা কৈলোরে ফিরে যাব।’ হাম্বিরের পিতা পিতামহ যে রাজসভায় বসে রাজত্ব করতেন, সেই ঘরে হাঙ্গিরকে নিয়ে মালদেব যখন উপস্থিত হলেন, তখন হাম্বিরের বুকের লিন্ বট কেমন যে কলে উঠল ত বলা যায় না। র্তার মনে হল যেন সেই প্রকাণ্ড ঘরের একধারে চিতোরের শূন্য রাজসিংহাসন ঘিরে ছায়ার মতে সব বীরপুরুষ দাড়িয়ে রয়েছেন একদৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে । তাদের গায়ে সোমাল সাজোয়া, হাতে খোলা তলোয়ার, মুখে কারু কথা নেই ; হাঙ্গিরের সঙ্গে যত রাজপুত এসেছিল সবাইকার চোখ সেই সিংহাসনের দিকে ! প্রকাণ্ড ঘরের আবছায়। অন্ধকালে চিতোরের শূন্য সিংহাসনের উপরে সোনার রাজচ্চত্র আলে| পেয়ে একবার ঝলমল করছে, আবার । যন অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছে । হাম্বিবের সঙ্গে পাচশো রাজপুত সেই সিংহাসনকে নমস্কার করে যেমন উঠে দাড়ালেন, তামনি সেই অন্ধকার ঘর যেন আলো করে কমলকুমারী সখীদের সঙ্গে এসে হাম্বিরের গলায় পদ্মফুলের মাল দিলেন চিতোরের রাজলক্ষ্মী এতদিন অনাথ৷ বিধবার মতে শূন্য রাজপুরে যেন এক ছিলেন, আজ যেন কতদিন পরে চিতোরের রাজকুমার এসে তাকে হাতে ধরে বরণ করে নিলেন । কতদিন পরে চিতোরের কেল্লায় অ, একবার মঙ্গলশাখ বেজে 28S