পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেক বোঝানোর পরেও যখন চণ্ড বিয়ে করতে রাজী হলেন না, তখন রাগে বুড়ে রানা পাকা দাড়িতে মোচড় দিয়ে বললেন, ‘দেখো চণ্ড, তোমার প্রতিজ্ঞা তুমি রাখে ; কিন্তু আমি ও প্রতিজ্ঞ করলেম, এবার আমার যে ছেলে হবে তাকেই আমি সিংহাসন দেব, সে-ই হবে রানা আর তোমাকে তার একজন সামন্ত হয়ে থাকতে হবে ।’ চণ্ড একলিঙ্গ মহাদেবের নামে শপথ করে বললেন, তাই হবে ? সভাযুদ্ধ লোক চুপ হয়ে রইল। মাড়োয়ারের দূত রানার বিয়ের হুকুম নিয়ে বিদায় হল । বুড়ে বয়সে বর সেজে যে তামাশা দেখাতে হল সেটা লখারানার বড়োই বাজল ; তিনি চণ্ডকে কিছুতে ক্ষমা করতে পারলেন না । বিয়ের বছর পরে মাসের ছেলে মকুলকে মেবারের সিংহ বসিয়ে তিনি এক কম্বল এক লোটা নিয়ে তীর্থ করতে বেরিয়ে গেলেন– কবে কোনখানে জীবনেব বিষম তামাশার থেকে তার যে নিস্কৃতি হল তা জানা গেল না । মকুল তখন ভারি ছোটো, নেহাত কচি— কাজেই রাজাব যা কিছু কাজ সবই চণ্ডকে করতে হয়, লাজ না হয়েও তিনি রাজ। দেশের লোকের মুখে চণ্ডের স্থখ্যাতি তার ধরে না। চণ্ডকে তারা যেমন ভয় করে তেমনি ভক্তিও করে, ভালো ওবাসে ; এটা কিন্তু মকুলের মায়ের আর যত মাড়োয়ারী মামার দলের প্রাণে সয় ন| চণ্ড কাউকে কিছু বলেন না— কিন্তু বোঝেন তার হার বেশি দিন এ রাজ্যে থাকা চলবে না । এই যে রাজবাড়ি যেখানে চণ্ড মায়ের কোলে মানুষ হয়েছেন, বাপের আদরে বেড়ে উঠেছেন, এখানে তার আপনার বলতে আজ কে আছে ? পুরোনো চাকর যার ছিল মহারানী তাদের তাড়িয়ে নিজের দেশ থেকে যত মাড়োযারী এনে কাজে রেখেছেন। তার নিজের যে মহল সেখানে রানীর ভাইর এসে ঢুকেছেন, তার যে সোনা-রুপোর খাট-বিছান। আসবাবপত্র সবই এখন মকুলের, রাজবাড়িতে নিজের ব তে রয়েছে একমাত্র তার তলোয়ার । কিন্তু মকুল—সেই অফুটন্ত ফুলের মতো কচি মকুল, Ꮌ& Ꮔ