পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবনে রাজা রাজ্যে চলে গেলেন, আর শকুন্তলা সেই বনে দিন গুনতে লাগল। যাবার সময় রাজা নিজের মোহর আংটি শকুন্তলাকে দিয়ে গেলেন, বলে গেলেন— ‘সুন্দৰী, তুমি প্রতিদিন আমাব নামের একটি করে অক্ষব পড়বে, নামও শেষ হবে আর বনপথে সোনার রথ তোমাকে নিতে আসবে।’ কিন্তু হায়, সোনার রথ কক্ট এল ? কতদিন গেল, কত বাত গেল ; তুষ্মন্ত নাম কতবাব পড়া হয়ে গেল, তবু সোনার রথ কই এল ? হায় হায়, সোনাব সাঝে সোনাব রথ সেই যে গেল আর ফিরল না ! পৃথিবীর রাজা সোনাব সিংহাসনে, আব বনেব বানী কুটিব তুয়ারে— দুজনে দুইখানে । রাজাব শোকে শকুন্তলার মন ভেঙে পড়ল। কোথা বইল অতিথি-সেবা, কোথা বইল পোষা হরিণ, কোথা রইল সাধের নিকুঞ্জবনে প্রাণেব দুই প্রিয়সখী! শকুন্তলার মুখে হাসি নেই, চোখে ঘুম নেই! রাজার ভাবনা নিয়ে কুটির-ছয়ারে পাষাণ-প্রতিম! বসে রইল । রাজার রথ কেন এল না ? কেন রাজা ভুলে রইলেন ? রাজা, রাজ্যে গেলে একদিন শকুন্তলা কুটির-ছয়ারে গালে হাত দিয়ে বসে-বসে রাজার কথা ভাবছে— ভাবছে তার কাদছে, এমন সময় মহর্ষি দুর্বাস জুয়ারে অতিথি এলেন, শকুন্তলা জানতেও পারলে Yo