পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাদা, আমি তোমার ছোটো ভাই, তোমার জন্য র্কাদছি, একবার এসো, খুব খেলা হবে ; কবুতর তুটাে চিঠি নিয়ে যাচ্ছে জবাব দিও। এদের ছানা হলে তোমায় একটা দেব। আমি খুব ভালো আছি । ইতি— মকুল তোমার ছোটো ভাই পুঃ—ম আর দাই তোমার জন্য খালি কাদে । চিঠি যেমন হতে হয়— বলে দাই কাগজখানা নিয়ে বেশ করে মুড়ে বললে, তবে এখন কোন দাদাকে চিঠিখানা পাঠাতে চাও বল । এইবার মকুল মুশকিলে পড়ল, বড়োদাদা আর ছোটোদাদা দুই দাদার মধ্যে বেছে নেওয়া তার পক্ষে শক্ত হল, দুইজনকেই সে সমান ভালোবসে, দুইজনকেই সে চিঠি লিখে ডেকে পাঠাতে চায় । কিন্তু হায়, চিঠি তার একখানি বৈ নেই! ভাবনায় তার মুখ শুকিয়ে গেল, তখন রানী আস্তে আস্তে তাকে কোলের কাছে টেনে নিয়ে বললেন, “এক কাজ কর, আধখানা চিঠি বড়োদাদাকে, তার আধখানা ছোড়দাদাকে পাঠিয়ে দে।" তাই হল। প্রথম টুকরো ছোড়দাদার আর বাকিটুকু বড়দাদার জন্যে ছিড়ে মকুল দাইয়ের হাতে দিল । শাদাডান হুই পায়রা সেই দ্ব-টুকরো কাগজ গলায় বেঁধে আকাশে উড়ল, ডানার তলায় লুকানো রইল তাদের মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্যে চণ্ডের কাছে রানী আর দাইয়ের দুখানি চিঠি । সোনামাখানো মেঘের উপর দিয়ে উড়ে চলেছে ছুটি পাখি ছোটে-বড়ো দুজনের ডাক বয়ে, সূর্যের আভা আকাশ রাঙিয়ে তাদের তুজোড়া ডানার পালকে এসে ঠেকেছে শাদা পালে হাওয়ার মতো। চিতোরের কেল্লায় বন্দী অসহায় মকুল আর তার মায়ের ডাক সকালের সোনায় মাখ, দুপুরের রোদে পোড়া, সন্ধ্যার মেঘ আর আলোর চিত্র-বিচিত্র দিনের মধ্যে দিয়ে রাত্রির নীল-গোলা অন্ধকার আকাশ পার হয়ে যেদিন মাণ্ডুর কেল্লায় চণ্ডের কাছে এসে পৌছল, Xebr