পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাই তখন চুপি-চুপি বললে, ‘এবারে যে-দল আসছে বড়ো শক্ত দল, মেবারের রাজপুতকে আপনি চেনেন না, এই বেলা যা হয় উপায় করুন।’ রণমল্ল মনে ভয় কিন্তু মুখে সাহস দেখিয়ে বলে উঠলেন, ‘কী উপায় করতে হবে শুনি ? দাই বললে, মকুলজীকে একবব গ্রামে-গ্রামে শিকার খেলার জন্তে পাঠিয়ে দিন। লোকে দেখুক তাদের রান বেশ মুখে বেঁচে আছে আর খেলে বেড়াচ্ছে । তাহলেই তারা ঠাণ্ড হবে তার আপনাকে বিরক্ত করতে আসবে না।’ রণমল্ল খানিক গম্ভীর হয়ে থেকে বললেন, ‘মন পরামর্শ নয়, কিন্তু হাতিয়ার বেঁধে গ্রামে-গ্রামে শিকার খেলে বেড়ানো তো হতে পারে না, শিকার থেকে লড়াই বাধতে কতক্ষণ ? অন্ত কিছু উপায় থাকে তো বল। তবে রানীমা আর মকুলজীকে পালকি চড়িয়ে গ্রামেগ্রামে দেবতাদের পুজো দেবার জন্তে পাঠিয়ে দিন, কাজ একই হবে।’ এ পরামর্শটা রামল্পের মনোমতো হল, দাই রানীকে আর মকুলজীকে পালকিতে চড়িয়ে চিতোবের কেল্লা পার করে দিয়ে এল । যাবার সময় মকুল বললে, দাই মা, তুমি যাবে না ? ‘না জী, বাঘ ধরবার সেই ফাদটা শেষ করে তবে আমি তোমার কাছে যাব’ – বলেই দুই চিতোরের কেল্লায় ফিরে এল । গো-সুন্দ নগরে দেওয়ালীর তাজ ভাবি ধুম, মহারানী রানাজীকে নিয়ে কেল্লায় এসেছেন, খুব ঘটা করে তাজ মুন্দেশ্বরীর পুজো দেওয়া হবে। ঘরে ঘরে আজ প্রজার পিদিম জালিয়েছে, রাস্তায়-রাস্তায় দোকানীবা ঝড়িলণ্ঠন ছবি আয়ন দিয়ে দোকান সাজিয়ে বসে লোকের গায়ে কেবল গোলাপজলের পিচকিরি দিচ্ছে। শহরের ছেলে গুলো রাস্তার মাঝে তুবড়ি পুড়িয়ে ছুচো-বাজি ছেড়ে মকুলজীর সঙ্গে যে-সব ঘোড়সওয়ার এসেছে তাদের ঘোড়াগুলোকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে ত,মাশা দেখছে। ছেলে বুড়ো সবাই মিলে হাউই উড়িয়ে চরকি ঘুরিয়ে ফুলঝুরি, রংমশাল, বোমা, দোদমা, ভুইপটকা, $१०