পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজবাড়ির দাসী বলে তিনি ঠাউরে ছিলেন, তারই হাতের বাধা দড়ির বঁধে শেষ পর্যন্ত আগুনের নাগপাশের মতো তাকে জড়িয়ে রইল। কোথায় মেবার মাড়োয়ার ফুটে দেশ রণমল্ল দখল করে বসবেন, না এখন তার মাড়োয় রের সিংহাসনটা পর্যন্ত মেবারের রানার হাতে এল। তার ছেলে যোধরাও বাপের সিংহাসন হারিয়ে এখন সামান্য গুটিকতক সেপাই নিয়ে রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে চলল, অনেক দূরে লুনী নদীর ও-পারে । মহাবীর হরোয়া শংকল রাজর্ষি – লুনী নদীর ও-পারের সমস্ত পাহাড় নদী বন তার রাজত্ব । তার নামে সবাই মাথা নোয়ায় এমনি তার বীরত্ব, এমনি তার দয়া, তার হুকুম অমান্ত করে রাজস্থানে এমন লোক নেই। বিপদে যে পড়েছে তাকে উদ্ধার করা, দুঃখীর দুঃখ মোচন, অনাথকে আশ্রয় দেওয়াই তার কাজ, তার যত অনুচর সবাই সন্ন্যাসী বীর, গাজাখোর নয়, কাজের মানুষ । কেউ কারুর উপর অন্যায় অত্যাচার করলে তাদের হাতে নিস্তার নেই, বনের ভিতর পাহাড়ের গুহায় তাদের সব কেল্লা, সেখানে জালা-জালা টাকা পোতা আছে, লোকে চাইলে সেই টাকা দিয়ে তারা তাদের দুঃখ ঘোচায় । মাটির নিচে বড়ো-বড়ে ঘর, সেখানে তাদের অস্ত্র-শস্ত্র লুকোনো থাকে, কেউ বিপদে পড়ে তাদের কাছে এলে সেই অস্ত্র দিয়ে তারা তার সাহায্য করে, এমনি দলের রাজ তিনি হরোয়া শংকল । লুনী-নদী সাতার দিয়ে পার হয়ে যোধবীও রাতদুপুরে এসে তারই আশ্রয় চাইলেন ; যোধরা ও জানতেন চণ্ড ও ইচ্ছে করলে এখানে এসে গোলমাল করতে পারবেন না । হরোয়া শংকল আদর করে যোধরাওকে বসালেন ; তার ছোটো ঘর, রাজকুমারের সঙ্গে অনেক সেপাই, কাজেই সবাইকে গাছতলায় বসাতে হল, সন্ন্যাসী রাজা একটু ভাবিত হলেন এত রাত্রে এত লোকের খাবার কেমন করে যোগাবেন, লোকেরাও অনেক পথ চলে এসে খিদেয় কাতর হয়ে পড়েছে! রাজর্ষি তার দলবলকে ডেকে সকলের আহারের সুবন্দোবস্ত করে দিতে বললেন, কিন্তু ঘরে র্তার ጏዓ8