পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাধুনী ঠাকুরটি খেতে যেমন মজবুত রাধতেও তেমনি, আর রাজ্যের আজগুবি গল্প তার কাছে ; যোধরা ও আর সঙ্গীদের বেশ আমোদআহলাদে দিন কাটতে লাগল, বনে আছেন মনেই হত না । এদিকে হরোয় শংকলের হুকুম চণ্ডের কাছে পৌছল— যোধরাওকে যেন মাড়োয়ারের সিংহাসন ফিরিয়ে দিয়ে ঝগড়াঝাটি সব মিটিয়ে নেওয়া হয়— এর উপর কোনো কথা নেই। চণ্ডের দুই ছেলে মুঞ্জজী আর কণ্ঠজী মাড়োয়ার শাসন করছিলেন ; তাদের উপর হুকুম হল যে হরোয়া শংকল কিংবা তার কোনো লোক যোধরা ওকে সঙ্গে নিয়ে তা সামাত্র মাড়োয়ারের সিংহাসন যেন তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। হরোয়া শংকল দূতের মুখে এই খবর পেয়ে নিজেই যোধরা ওকে সঙ্গে নিয়ে মেবারে চললেন । সেখান থেকে চণ্ডকে সঙ্গে নিয়ে মাড়োয়ার যাবার কথ। । ঠিক সময়ে সবাই মেবারে পৌছে চণ্ডকে সঙ্গে নিয়ে যোধর ওর রাজত্বে মুন্দরের কেল্লার দিকে চললেন ; যোধরাও তখন ছেলেমানুষ— একরাত্রে সবই মাঠের মধ্যে র্তাবু গেড়ে আছেন এমন সময় একটা বুড়ে মাড়োয়ারী যোধরা ওর কামে-কানে বললে, “দেশে তে এসে পড়েছি, তবে এখন আর চুপ করে থাকা কেন ? চলুন, তাজ রাত্রেই গিয়ে কেল্লাট। দখল কবে বসি, নিজের সিংহাসন পরের কাছ থেকে চেয়ে না নিয়ে জোরসে কেড়ে নেওয়াই ভালো, কী বলেন ? যোধরা ও এ কথায় সায় দিলেন, আস্তে-আস্তে মাড়োয়ারী সৈন্য সব মুন্দরের দিকে বেরিয়ে গেল । চণ্ড আর হরোয় শংকল এ খবর কিছুই জানেন না, সকালবেলা শিবির থেকে বেরিয়েছেন এমন সময় দেখলেন দূর থেকে এক ঘোড়সওয়ার ছুটে আসছে— তার মাথার পাগড়ি খোলা, বুকের কাপড়ে রক্তের দাগ সওয়ার যখন ছুটে এসে চণ্ডের কাছে দাড়াল তখন চণ্ড র্তাকে নিজের ছেলে কণ্ঠজী বলে চিনতে পারলেন । হরোয়া শংকল তাকে ঘোড়া থেশে নামিয়ে ঘাসের পর শুইয়ে দিলেন, অমনি কণ্ঠজীর প্রাণ বেরিয়ে গেল। কে তাকে এমন করে »ዓፄ `ब्. S-۹ لاستیاس