পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজকুমারের মুখে, রানা তুষ্ট প্রাণীর ভালোবাসার উপরে কী বিষম ঘা দিতে প্রস্তুত হয়েছেন, তখন তিনি আর স্থির থাকতে পারলেন না। ঝলকুমারীর বরকে নিয়ে চিতোরে চললেন । রানার কাছে খবর পৌছল মীরা আসছেন। আর কেন আসছেন সেটাও শুনলেন কুম্ভ। রানা কড়া হুকুম দিলেন, ঝিলোয়ান-বাগানের মধ্যে ঝলকুমারীকে কড়া পাহারায় যেন বন্ধ রাখা হয় ? তারপর কুম্ভ মীরাকে এক চিঠি পাঠালেন— চিতোরেশ্বরী মীরা, চিতোরেশ্বর তাকে পেলে সুখী হবেন । তিনি যা ভিক্ষা চাইতে এসেছেন, সেই স্ত্রী-রত্ন যেখানে বন্ধ আছে, সেই ঝলোয়ানের চাবিও রান পাঠালেন। ইচ্ছে করলে বাগানের দরজা খুলে রানী মীরা ঝলকুমারীকে দেখে আসতে পারেন। কিন্তু মন্দুরের রাজকুমার যদিও বা কোনো উপায়ে ঝলোয়ানের বাগানে প্রবেশ করেন, কুমারীর দেখা পাবেন না নিশ্চয় । কেননা, রানার অন্দরে রানীর ছাড়া কোনো পুরুঘেব যাবার হুকুম নেই। যদি যায়, তবে মাথা বাইবে রেখে যায় এট। জানা কথা ! তখন সন্ধা হয়ে আসছে । আকাশে একটিমাত্র তারা , আব দূরে ঝলোয়ানের বাগানের মধ্যে, পাথরের রাজপ্রাসাদের উপরে একটি ঘরে একটি. আলে। জ্বলজ্বল করে জানাচ্ছে মন্দুরের রাজকুমারের উপরে ঝলকুমারীর জলন্ত ভালোবাসা ! ঠিক সেই সময়ে রানার চিঠি মীর পেলেন । চিঠি পড়ে মীরা বুঝলেন, উপায় নেই। তিনি দুটি কথা রানাকে লিখলেন— ‘প্রেম না করলরে, বিনা প্রেমসে প্রেম না মিললরে , মীরা মন্দুরের রাজকুমারের হাতে ঝলোয়ানের চাবি দিয়ে চিতোর ছেড়ে চলে গেলেন ; আর মন্দুর-রাজকুমার ঝলকুমারীকে শেষ-দেখা দেখে নিতে বাগানে ঢুকলেন— আলোর নিশানার দিকে চেয়ে । সেই রাতকোটের কেল্লায়, অন্ধকার-রাতে দুটি বুড়ো আর একটি কচি মেয়ের ভালোবাসার প্রদীপ যেমন করে হঠাং নিবেছিল, আজ ও আবার তেমনি করে রান কুম্ভ নিজের অন্দরে ঝলকুমারীর ఫిషి