পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এমন সময় পৃথ্বীরাজ বলে উঠলেন –ও-গল্প তো আমরা জানি । দুই দেবীর একজন এসে বসেছিলেন স্বর্ণ-সিংহাসনে, অন্তে বসেছিলেন রুপোর খাটে ; ছোটে-বড়ো বিচার আপনি হয়েছিল। গল্প থাক, এখন দেখুন দেখি বিচার করে আমাদের মধ্যে রাজা হবে কে ? সিদ্ধিকরী একবার চারজনেব দিকে চেয়ে বললেন, ‘রাজকুমার, তোমরা নিজেবাই নিজেদের বিচাব শেষ করে বসে আছ! সঙ্গ –যিনি বসে আছেন বাঘছালে বীবাসনে, উনি ঠিক রাজার উপযুক্ত জায়গায় রয়েছেন —রাজ্যেশ্বব ! সুরজমল রয়েছেন মাটিতে —সঙ্গের কাছেই মাটিতে, কাজেই দেখা যাচ্ছে জমিতে ওঁর দখল, সিংহাসনের কাছাকাছি উনি থাকবেন —হয় মন্ত্রী, নয় সর্দার, নয় জমিদার । আর পৃথ্বীরাজ, জয়মল, তোমব বসেছ সন্ন্যাসিনী যে আমি, আমার আসনে ছেড়া কাথায়, কাজেই ছেড়া কাথায় শুয়ে রাজ্যের স্বপ্ন দেখা ছাড়া তোমাদের অদৃষ্টে আর কিছুই নেই ? এই কথা বলেই সিদ্ধিকরী গুহার অন্ধকারের মধ্যে চলে গেলেন ; চাব বাজকুমাবের চোখ বাঘের মতে কটমট কবে এর ওব দিকে চাইতে থাকল ! সর্ব-প্রথম সুরজমল কথা বললেন, “তাহলে ? ‘তাহলে সিংহাসন কণর এখানেই স্থির হয়ে যাক আজই ! বলেই পৃথ্বীরাজ তলোয়াব খুলে সঙ্গকে আক্রমণ কবলেন। সঙ্গ ছুটে গুহার বাইরে যাবেন, তলোয়ারেব চোট পড়ল তার একটি চোখের উপরে। চরণদেবীব সামনে ভায়ের হাতে ভায়ের রক্তপাত ঘটল । সঙ্গ প্রাণভয়ে ঘোড় ছুটিয়ে অন্ধকাবের মধ্যে অদৃশ্ব হয়ে গেলেন। একদিকে গেলেন মুরজমল ; পুর্থীবাজ, জয়মল গেলেন আর একদিকে —এ ব পেছনে উনি তার পিছনে তিনি ; অন্ধকার ঢেকে নিলে চারজনকেই । চারণীমন্দির থেকে প্রায় এক রাতেব পথ লাঠোরসর্দার ‘বিদা’র কেল্লার বুরুজের ধবনে কাচামাটির দেওয়ালঘের খামার বাড়ি । ভোর হয়ে আসছে কিন্তু মেঘে ঢাকা আকাশে তখনো আলোর টান একটিও পড়েনি। উঠোনের মাঝে মস্ত তেঁতুল গাছটার অগায় S o o