পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলেম । সুরজমল একটু হেসে বললেন, ‘হঠাৎ তুমি এসে পড়ায় একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেম । যা হোক, অনেকদিন পরে তোমাকে দেখে খুশি হলেম। মহারানার সঙ্গে সাক্ষাৎ করোনি ? পৃথ্বীরাজ ও হেসে বললেন, ‘কমলমীরে তোমার খবর পেয়েই ছুটে এসেছি, বাবার সঙ্গে এখনো দেখা হয়নি।’ এই সময় এক দাসী সোনার থালায় খাবার নিয়ে হাজির হল । সুরজমল বললেন, “অ’রে দেখচিসনে কে এসেছে। যা দৌড়ে আর এক থালা নিয়ে আয়।’ দাসী এদিক-ওদিক চাইছে দেখে সুরজমল বললেন, ‘বুঝেছি সারংদেব এই একথালা বই আর কিছু পাঠায়নি; খুড়োভাইপোতে আজ এক থালেই খাব।” শুনেই পৃথ্বীরাজ একটা মিষ্টি তুলে মুখে দিলেন । দিনের বেলার শত্রুত গল্প-হাসি খাওয়া-দাওয়ার চোটে কোথায় পালিয়ে গেল! বিদায়ের সময় পৃথ্বীরাজ খুড়োকে বললেন, ‘আমাদের পুরোনো ঝগড়াটা তাহলে আজ তোলা থাক, কাল সকালেই শেষ করা যাবে, কী বলো ? সুরজমল হেসে বললেন, ‘রেশ, আজকের মতো একটু ঘুমিয়ে নেওয়া যাক! কিন্তু কাল খুব সকালেই আমি তৈবি থাকব জেনো ? তার পরদিনের লড়াইয়ে বিদ্রোহীদের পৃথ্বীরাজ হারিয়ে দিলেন। স্ববজমল সারংদেবকে নিয়ে পালিয়ে চললেন । পুর্থীরাজও তাদের পিছনে তাড়িয়ে চললেন –একটার পরে একটা পরগণা বিদ্রোহীদের হাত থেকে আবার জয় করতে-করতে। শেষে সুরজমলের একটু দাড়াবারও স্থান রইল না। সারংদেবের রাজ্যটা পর্যন্ত পৃথ্বীরাজ দখল করে নিলেন । দুই বিদ্রোতী তখন স্ত্রী-পুত্র-পরিবার নিয়ে নিমচের জঙ্গলে বড়ো-বড়ো গাছের গুড়ি আর ডালপালা দিয়ে খুব মজবুত-রকম বরোজ বানিয়ে তার মধ্যে লুকিয়ে রইলেন। একদিন স্থরজমল নিশ্চিন্ত মনে বসে গল্পগুজব করছেন —দুপুরবেলা বাইরে বনের মধ্যেটা শুনশান, কোনখানে ঘনপাতার আড়ালে বসে দুটো নীল পায়রা কেবলি বকম-বকম করছে –এমন সময় বাঘ যেমন চুপিসাড়ে এসে হঠাৎ শিকারের ঘাড়ে ঝাপিয়ে পড়ে তেমনি পৃথ্বীরাজ २S a